সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। এছাড়াও আহত হয়েছেন ৬০ জন। তবে শিবসেনার (ইউবিটি) রাজ্যসভা সাংসদ সঞ্জয় রাউত দাবি করেছেন, পদপিষ্টে কমপক্ষে ২০০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার ফলে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান তাঁকে প্রমাণ দিতে বলেন। তার জন্য রাজি হয়েছেন সাংসদ। তবে সঞ্জয় রাউতের এই দাবিকে কেন্দ্র করে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুম্ভে পদপিষ্টে যোগী সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার আর্জি, মামলা গ্রহণ করল না SC
মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের সঞ্জয় রাউত এই দাবি করেন। তিনি পদদলিত হয়ে ৩০ জনের মৃত্যুর সরকারি সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ‘যখন পদপিষ্ট হয়েছিল তখন প্রথমে বলা হয়েছিল এটি পদপিষ্টের ঘটনা নয়, এটি গুজব। পরে বলা হয় ৩০ জন মারা গিয়েছে। সংখ্যাটি কি সত্য? এটা লুকোবেন না। একজনের মৃত্যু হলেও আমরা দায়ী। আমরা নিজের চোখে যে পরিসংখ্যান দেখেছি তাতে ২০০০ জন মারা গিয়েছেন।’ শিবসেনা ইউবিটি নেতা এই দুর্ঘটনার জন্য ‘দুর্বল ব্যবস্থাপনা’কে দায়ী করেছেন। কুম্ভকে ‘রাজনৈতিক অনুষ্ঠান’ বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘অন্যান্য দেশেও এই ধরনের ঘটনা ঘটলে প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি উঠত।’ তাঁর এই মন্তব্যের পর ট্রেজারি বেঞ্চের সদস্যরা প্রতিবাদ করলে ডেপুটি চেয়ারম্যান রাউতকে বলেন, ‘আপনি যদি কোনও পরিসংখ্যান উল্লেখ করেন, তাহলে আপনাকে প্রমাণ করতে হবে।’ সাংসদ তাতে রাজি হন।
উল্লেখ্য, কংগ্রেস সভাপতি এবং রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গেও পদপিষ্ট হয়ে হাজার হাজার মৃত্যু হয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন। চেয়ারম্যান খাড়গেকে তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহার করতে বলেছিলেন। তাঁর সেই মন্তব্যের একদিন পরেই সঞ্জয়ের এই দাবি সামনে এল। এর ফলে উচ্চকক্ষে বিক্ষোভ শুরু হয়।
বক্তৃতার সময় সঞ্জয় রাউত আরও অভিযোগ করেন, যে গণতন্ত্রের সমস্ত স্তম্ভ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। সরকার নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিল। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা নির্বাচনের ব্যস্ততা থেকে বেরিয়ে না আসলে দেশ এগিয়ে যাবে না। বিজেপি সদস্য অনিল সুখদেওরাও বন্দে বিরোধীদের পাল্টা আক্রমণ করে প্রশ্ন তোলেন, যে আজমিরে হতাহতের বিষয়ে কেন একই রকম উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়নি। বিতর্কে কংগ্রেস সাংসদ ফুলো দেবী নেতাম ছত্তিশগড়ের উন্নয়নের বিষয় উত্থাপন করেন।