বৃহন্মুম্বই পুরনিগমের ভোটে একলা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে শিবির)। মহারাষ্ট্রে সদ্য সমাপ্ত হয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। তাতে বিরোধী জোট শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছে। তারপরেই পুর নির্বাচনে একা লড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা। সেইমতোই এবার বৃহন্মুম্বই পুরনিগমের ভোটে একলা লড়ার কথা ঘোষণা করলেন শিবসেনা (ইউবিটি)-র সাংসদ সঞ্জয় রাউত। দলটি মুম্বই, থানে, পুণে এবং নাগপুর পুরসভা-সহ একা লড়বে বলে শনিবার সঞ্জয় রাউত জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: 'ও শত্রু নয়', উদ্ধবকে নিয়ে ফড়ণবীসের মন্তব্যে নয়া 'খেলা'-র জল্পনা মহারাষ্ট্রে!
এদিন সঞ্জয় রাউত বলেন, ‘আমরা মুম্বই থেকে নাগপুর পর্যন্ত পুরসভা নির্বাচনে একাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছি। যা ঘটবে, তাই হবে। আমাদের শক্তি একবার পরীক্ষা করতে হবে। উদ্ধব ঠাকরে আমাদের একটি ইঙ্গিত দিয়েছেন। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে মুম্বই, থানে, পুণে এবং নাগপুর থেকে আমাদের আলাদাভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উচিত।’
তিনি আরও বলেন, দলীয় কর্মীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য এটি অন্যান্য স্থানীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হওয়া উচিত। তাঁর বক্তব্য, জোটের মধ্যে থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় বিশেষ করে লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে দলীয় কর্মীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কম সুযোগ পান। এর ফলে দলগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর জন্য থেকে জেলা পরিষদ এবং পুরসভা, পঞ্চায়েতগুলিতে আলাদাভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উচিত। এর ফলে সংগঠন আরও শক্তিশালী হবে।
এমভিএ-র মধ্যে কংগ্রেস এবং এনসিপির নেতারা বিভিন্ন অবস্থান নিয়েছিলেন। এনসিপি (শরদ পাওয়ার গোষ্ঠী) নেত্রী সুপ্রিয়া সুলে বলেছেন, যে স্থানীয় নির্বাচনগুলি জোটের অংশ হিসাবে নয়, আলাদাভাবে লড়াই করা উচিত। তিনি জানান, গত পুরসভা নির্বাচনেও এনসিপি আলাদাভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। তাঁর মতে, দলীয় কর্মীদের সুযোগ দেওয়ার জন্যই স্থানীয় নির্বাচনে একা লড়া উচিত। কর্মীদের ন্যায়বিচার দেওয়া উচিত।
তবে, কংগ্রেস নেতা বিজয় ওয়াদেত্তিওয়ার এনি য়ে সহমত নন। তিনি বলেছেন, সঞ্জয় রাউতের দৃষ্টিভঙ্গি কি তাঁর নিজের নাকি তাঁর দলের? এবিষয়ে দলের প্রধান উদ্ধব ঠাকরের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে এবং জোট হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অনুরোধ করা হবে।
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘তারা আলাদাভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, নাকি একসঙ্গে লড়াই করছে সেটা আমাদের কাছে বিবেচ্য নয়। আমরা অগ্রগতির পথে আছি এবং জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে।’
উল্লেখ্য, শিবসেনা বিভক্ত হওয়ার আগে ১৯৯৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত টানা ২৫ বছর ধরে ভারতের আর্থিক দিক থেকে সবথেকে এগিয়ে থাকা পুরসভা বিএমসিকে নিয়ন্ত্রণ করেছিল। তবে ২০২২ সালের মার্চ মাসে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে প্রায় তিন বছর ধরে পুরসভাটি প্রশাসকের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। অবশেষে সেখানে নির্বাচন হতে চলেছে।