গভীর রাতে প্রাণ গিয়েছে হবু কনের। রিসর্টে মেহেন্দি অনুষ্ঠান চলাকালীনই মঞ্চে নাচতে গিয়ে হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন তিনি। ঘটনাস্থলে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুরা, তাঁকে তড়িঘড়ি ভিমতাল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে নিয়েও গিয়েছিলেন, কিন্তু ডাক্তারদের অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও কনের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় স্বজনদের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ভিমতাল নৌকুছিয়াতলের একটি রিসর্টে। ভিমতাল থানার ইনচার্জ জগদীপ নেগি জানিয়েছেন, নয়া দিল্লির দ্বারকার বাসিন্দা ডাঃ সঞ্জয় কুমার জৈন তাঁর মেয়ে শ্রেয়া জৈনের বিয়েতে নৌকুচিয়াতালে এসেছিলেন। এখানে একটি রিসর্টে বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। ডেস্টিনেশন ওয়েডিং ছিল এটি। ছেলের পরিবারও বিয়ের জন্য এখানে পৌঁছেছিল। ছেলে মেয়ে দুজনেই আইটি সেক্টরে কাজ করতেন।
দিল্লির এই হবু কনের নাম শ্রেয়া জৈন, বয়স ২৮। তাঁর বাবা, ডক্টর সঞ্জয় জৈন, একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, যিনি দিল্লির দ্বারকায় একটি পলিক্লিনিক চালান। তিনিই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। বর ও তাঁর পরিবার লখনউ থেকে এসেছিলেন।
আরও পড়ুন: (No Yogi-Bhagwat Meet: জল্পনায় জল! হলই না যোগী-মোহন ভাগবত সাক্ষাৎকার)
শনিবারই নৌকুচিয়াতলে দুজনের বাগদান সম্পন্ন হওয়ার পর, সন্ধ্যায় মেহেন্দির অনুষ্ঠান চলছিল। রবিবার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু মেহেন্দি অনুষ্ঠান চলাকালীন মঞ্চে নাচতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন কনে শ্রেয়া। তা দেখার পরই তোলপাড় শুরু। স্বজনরা তড়িঘড়ি মেয়েকে অচেতন অবস্থায় ভিমতাল সিএইচসিতে নিয়েও গিয়েছিল। সিএইচসিতে, ডাঃ রশিদ তাঁকে বাঁচানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু পারেননি। ডাঃ রশিদ এ প্রসঙ্গে বলেছেন, প্রাথমিক তদন্তে হৃদরোগে মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেলেও মেয়েটির পরিবার ময়নাতদন্ত করতে দেয়নি।
আরও পড়ুন: (Shatrughan-Sonakshi: পাত্র অপছন্দ, সোনাক্ষি-জাহিরের বিয়েতে আসছে না শত্রুঘ্ন-পুনম? মুখ খুললেন ঘনিষ্ঠ)
আইনি ব্যবস্থা নিতে নারাজ মৃত কনের পরিবার
পুলিশ স্টেশনের প্রধান ডাঃ জগদীপ নেগি আরও জানিয়েছেন যে কনের বাবা ডাঃ সঞ্জয় ভীমতাল থানায় একটি আবেদন জমা দিয়েছিলেন, যাতে কোনও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, পরে তাঁরা লাশ নিয়ে গভীর রাতেই ফিরে গিয়েছিলেন। এরপর রবিবার, দিল্লিতে ফেরার আগে কাঠগোদামে শোকাহত পরিবার মেয়েটির শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছিল। একটি সংক্ষিপ্ত কথোপকথনে, মৃত কনের শোকাহত বাবা, জানিয়েছেন, আমার মেয়ে বিটেকের পরে এমবিএ সম্পন্ন করেছে এবং সে তার বিয়েতে খুবই খুশি ছিল।