দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ। মণিপুরে শর্তসাপেক্ষে এই নির্দেশ জারি করল মণিপুরের রাজ্যপাল। সমস্ত জেলাশাসক, সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট, সমস্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এই নোটিশ ইস্যু করার জন্য অনুমোদন করা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে নিশ্চিতভাবে একাধিক শর্ত রয়েছে। একেবারে চরমতম ঘটনা যেখানে সমস্ত রকম অনুরোধ, সতর্কতা, যৌক্তিকতার সঙ্গে বলপূর্বক পদক্ষেপ সহ অন্যান্য পদক্ষেপ ব্যর্থ হবে তখনই কেবলমাত্র এই শেষ তম পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। মূলত শান্তি ফিরিয়ে আনতেই এই কঠোরতম পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মণিপুরের রাজ্যপাল।
ভয়াবহ হিংসার ঘটনা মণিপুরের একাধিক জায়গায়। ইম্ফল উপত্যকায় মৈতেই জনজাতি পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয়েছে যে তাদের তফসিলি উপজাতির তকমা দিতে হবে। তবে মৈতেইদের এই দাবি মানতে পারছেন না স্থানীয় আদিবাসীরা। তা থেকেই বিরোধের সূত্রপাত। তার জেরে ক্রমেই হিংসা ছড়াতে থাকে।
গত বুধবার মণিপুরের অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন একটি মিছিল বের করেছিল । চূড়াচাঁদপুর জেলায় সেই মিছিল থেকে হিংসা ছড়ায়। এর আগে এই জেলাতেই মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের সভাস্থলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল ইন্ডিজেনাস ট্রাইবাল লিডারস ফোরামের সদস্যরা। সেবার অবশ্য তাদের অভিযোগ ছিল, সংরক্ষিত জঙ্গল ও জলাভূমি থেকে জোর করে আদিবাসীদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এরপর থেকেই হিংসা ক্রমে ছড়াতে থাকে।
বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়তে বাধ্য হয়েছিল। এই ঘটনার পর ইম্ফল পশ্চিম জেলার কাঞ্চিপুর এবং ইম্ফল পূর্বে সোইবাম লেইকাইতে মৈতেই জনজাতির মানুষজন আদিবাসীদের ওপর হামলার লক্ষ্যে পথে নামে। আদিবাসীদের সেই এলাকা থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সহায়তা করে সেনা। যাতে নতুন করে অঞ্চলে অশান্তি না ছড়ায় এর জন্য সেনা এবং অসম রাইফেলকে মোতায়েন করা হয়েছে। জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।
এবার অশান্তি মোকাবিলায় একেবারে কঠোরতম পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হল। তবে গোটাটাই শর্তসাপেক্ষে।