জুলাই মাসে জম্মু কাশ্মীরের শোপিয়ানে আমশিপোরায় যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল সেনার হাতে, তারা রাজৌরির বাসিন্দা বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে সেনা মেনে নিয়েছে আফসপা-র আওতায় সেনার হাতে যে ক্ষমতা দেওয়া আছে, সেটার সঠিক ব্যবহার হয়নি। এই তিন যুবকের পরিবার অভিযোগ করেছিল যে ভুয়ো এনকাউন্টারে তাদের হত্যা করে সেনা।
সেনার মুখপাত্র রাজেশ কালিয়া জানিয়েছেন যে আমশিপোরা অপারেশনে তদন্ত শেষ হয়ে গিয়েছে। চার সপ্তাহে তদন্ত শেষ হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে যে অপারেশনে যেসব নিয়মের কথা বলে দেওয়া আছে, সেগুলি ভঙ্গ করা হয়। সেই অনুযায়ী শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে এবার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
যারা মারা গিয়েছে, তারা স্থানীয় নয় রাজৌরির বলে জানান সেনার মুখপাত্র। তারা কোনওভাবে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত ছিল কি না, সেটা পুলিশ তদস্ত করে দেখছে। সেনা স্বচ্ছ ভাবে কাজ করতে চায় সেটি বলে মুখপাত্র বলেন পর্যায়ক্রমে আপডেট দেওয়া হবে এই কেসের।
এই মামলার তদন্ত স্বচ্ছভাবে হওয়ার প্রয়োজন আছে বলে জানিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা।
মৃত তিন তরুণের ডিএনএ রিপোর্ট এখনও আসেনি। ১৮ জুলাই এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় এদের। সূত্রের খবর, সরকার ডিএনএ রিপোর্ট পেয়ে গিয়েছে কিন্তু সেটা এখনও প্রকাশ্যে আনা হয় নি।
এলজিকে লেখা চিঠিতে এদের আত্নীয়রা বলেছে যে কাজের খোঁজে ১৬ জুলাই শোপিয়ানে গিয়েছিল তারা। তারপর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি। এরপর ১০ অগস্ট তারা জানতে পারেন যে তিন তরুণ মারা গিয়েছে ১৮ জুলাই। এই পরিবারের চিঠিতে উল্লেখ করা আছে যে তাদের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। পরিবারের সদস্যরা সেনাবাহিনীতে ছিলেন ও কার্গিল যুদ্ধেও অংশ নিয়েছেন বলে জানান হয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী এবার সামারি অফ এভিডেন্স সংগ্রহ করা হবে এই সেনাকর্মীদের বিরুদ্ধে তারপর কোর্ট মার্শালের প্রক্রিয়া শুরু হবে।