ভারতীয় সেনায় যোগদানের স্বপ্ন দেখেন যাঁরা, তাঁদের কাছে চেতন চিতা একটা খুব পরিচিত নাম। সিআরপিএফ-এর এই জওয়ান ২০১৭ সালে বান্দিপোরায় আতঙ্কবাদীদের হাতে ৯বার গুলিবিদ্ধ হয়েও লড়ে গিয়েছিলেন। হাসপাতালে সুস্থ হয়ে হাসিমুখে ফিরেও এসেছিলেন বীর জওয়ান। সেই চেতন চিতাই বর্তমানে লড়ছেন করোনাভাইরাসের সঙ্গে। বৃহস্পতিবার থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে।
গত ৯ মে ঝাঝর এইমসে ভর্তি হন তিনি। গত বুধবার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেটর থেকে বাইরে আনা হয়। গত সপ্তাহে তাঁর করোনা টেস্টের রিপোর্টও নেগেটিভ আসে।
তবে, বৃহস্পতিবার থেকেই তাঁর অক্সিজেন লেভেল হঠাত্ কমতে শুরু করে। ফলে আবার ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে তাঁকে।
এইমস-এর প্রধান ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকরা তাঁর দেখাশোনা করছেন। তাঁর সঙ্গে সিআরপিএফ-এর তরফে যোগাযোগ করা হয়। সিআরপিএফ-এর এক চিকিত্সকও তাঁর দেখভালের দায়িত্বে আছেন।
চেতন চিতার স্ত্রী জানিয়েছেন, 'আমি জানি উনি একজন যোদ্ধা। আমরা এই যুদ্ধতে হার মানতে নারাজ। সবাই আমাদের জন্য প্রার্থনা করুন, এটুকুই আর্জি জানাই।'
২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের বান্দিপোরায় হাজিন এলাকায় একটি সার্চ অভিযান চালাচ্ছিল সিআরপিএফ-এর একটি টিম। সেই সময়েই তাঁদের উপর অতর্কিতে হামলা চালায় আতঙ্কবাদীরা।
সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা হামলা চালান চেতন। তিনি ও তাঁর সহযোদ্ধারা মিলে রুখে দেন আতঙ্কবাদীদের। সেই সময়ে আতঙ্কবাদীদের ছোঁড়া মোট ৯টি গুলিতে বিদ্ধ হন তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আক্ষরিক অর্থেই মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ফিরে আসেন তিনি। তাঁকে কৃতি চক্র সম্মান দেয় ভারত সরকার।