তৃষা সেনগুপ্ত
দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা হয়েছে। ভেঙে পড়েছে বিমান। দুজন ছাড়া সব যাত্রী নিহত হয়েছেন বলে খবর। জরুরি বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরটির বিমানবন্দরে অবতরণের সময় থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে ফেরার পথে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, বিমানটি রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে এবং দেয়ালে ধাক্কা খায়।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, বিমানের এক যাত্রী তার এক আত্মীয়কে টেক্সট করে জানান, বিমানের ডানায় একটি পাখি আটকে আছে। ওই ব্যক্তির শেষ কথাগুলো ছিল, 'আমি কি আমার শেষ কথাগুলো বলব?
পুরো ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বিমানটি
বিমান দুর্ঘটনার বিষয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছে দমকল দফতর। তাদের দাবি অনেক প্রাণহানি হয়েছে। তারা জানিয়েছে, 'বিমানটি প্রায় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং নিহতদের শনাক্ত করা কঠিন হচ্ছে। দেহাবশেষ খুঁজে বের করে উদ্ধার করতে সময় লাগছে।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত তিন দশকের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার কোনো এয়ারলাইন্সের মধ্যে এটিই সবচেয়ে প্রাণঘাতী বিমান দুর্ঘটনা।
অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা।
বিমান সংস্থার সিইও কিম ই-বে কোম্পানির ওয়েবসাইটে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করেছেন। প্রথমেই আমরা মাথা নিচু করে ক্ষমা চাইছি জেজু এয়ারের ওপর যাঁরা আস্থা রেখেছেন। ২৯ ডিসেম্বর সকাল ৯টা ৩ মিনিটে ব্যাংকক থেকে মুয়ানগামী ফ্লাইট ৭সি২২১৬ মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় আগুন ধরে যায়। সর্বোপরি এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো যাত্রীদের পরিবারের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি। বর্তমানে, দুর্ঘটনার কারণ নির্ধারণ করা কঠিন, এবং আমাদের অবশ্যই সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলির কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক তদন্তের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ওই বিবৃতিতে একথাই বলা হয়েছে।
‘কারণ যাই হোক না কেন, সিইও হিসেবে আমি এই ঘটনার জন্য গভীর দায়বদ্ধতা অনুভব করছি। জেজু এয়ার এই দুর্ঘটনা সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে জানা এবং আরোহীদের পরিবারকে সহায়তা করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবে। আমরাও সরকারের সহযোগিতায় দুর্ঘটনার কারণ নির্ধারণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। আবারও, যারা এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন তাদের জন্য প্রার্থনা করছি এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের কাছে গভীর ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’ বিবৃতিতে বিমান সংস্থার পক্ষ থেকে এটাই জানানো হয়েছে।