বান্ধবীকে খুন করে ৩৫ টুকরো করে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আফতাব আমিন পুনাওয়ালার বিরুদ্ধে। কিন্তু শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের ঘটনার পর্দাফাঁস কীভাবে করল পুলিশ? সূত্রের খবর, আফতাব প্রথমদিকে পুলিশকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছিল। সে বলেছিল ২২ মে শ্রদ্ধা বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছে। শুধু ফোনটা নিয়ে গিয়েছে।
এদিকে পুলিশ ফোনের রেকর্ড ও লোকেশন খতিয়ে দেখে বুঝতে পারে সেটি মেহরাউলি থানা এলাকাতেই ছিল। এদিকে ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্টে দেখা যায় ২৬ মে শ্রদ্ধার অ্য়াকাউন্ট থেকে ৫৪ হাজার টাকা আফতাবের অ্যাকাউন্টে এসেছে। কিন্তু আফতাব পুলিশকে বলেছিল ২২শে মের পর থেকে শ্রদ্ধার সঙ্গে সে যোগাযোগ করতে পারেনি। কিন্তু পুলিশ দেখে এই ব্যাঙ্ক ট্রান্সফারের লোকেশনও সেই মেহরাউলি থানা এলাকা।
৩১শে মে শ্রদ্ধার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে বন্ধুর সঙ্গে একটি চ্যাট হয়েছিল। আর তখন শ্রদ্ধার ফোনের লোকেশন ছিল দিল্লির মেহরাউলি থানা এলাকাতেই। এতেই পুলিশ বুঝে যায় আফতাব বিভ্রান্তিকর কথা বলছে। শ্রদ্ধা যদি ফোনটা নিয়ে গিয়ে থাকে সেটা তবে মেহরাউলিতে আসে কীভাবে?
তবে আফতাবের নারকো টেস্টও করা হতে পারে। তবে ফোনে যোগাযোগ করতে না পেরেই শ্রদ্ধার পরিবার মিসিং ডায়েরি করেছিল মানিকপুর থানায়। এরপরই আফতাবকে ডেকে পাঠায় পুলিশ। এদিকে সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, মহারাষ্ট্র পুলিশ সূত্র জানিয়েছে থানায় কোনওরকম নার্ভাসনেস বা অস্থিরতা ছিল না তার মধ্য়ে। পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিল শ্রদ্ধা তার সঙ্গে থাকেন না। পরে অবশ্য ফোনের লোকেশন সংক্রান্ত বিষয়টি পুলিশ জেনে যাওয়ায় আফতাব ভেঙে পড়ে। আসলে শ্রদ্ধা বেঁচে আছে এটা বোঝাতে সে শ্রদ্ধার ইনস্টাগ্রাম অ্য়াকাউন্ট থেকে চ্যাট করা শুরু করেছিল।