শ্রদ্ধা ওয়াকর হত্যাকাণ্ডে ক্রমেই এটা স্পষ্ট হচ্ছে যে ধারাবাহিকভাবে অফতাব আমিন পুনাওয়ালার হিংসার শিকার হচ্ছিলেন মৃত তরুণী। দিল্লির এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে গোটা দেশে তোলপাড় হতেই শ্রদ্ধার পরিচিত বা বন্ধুরা একে একে মুখ খুলছেন। তাঁদেরই একজন হলেন রাহুল রাই। রাহুল সংবাদমাধ্যমকে জানান যে ২০২০ সালে তিনি নিজে শ্রদ্ধাকে পুলিশের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। রাহুল অভিযোগ করেন, সেই সময় শ্রদ্ধাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে বাড়িতে ফেরত পাঠিয়েছিল পুলিশ।
রাহুল বলেন, ‘আমি শ্রদ্ধাকে পুলিশের কাছে নিয়ে যাই। তাঁর ওপর দুই-তিনবার হামলা চালিয়েছিল আফতাব। তাঁর ঘাড়ে একটি গভীর দাগ ছিল। যেন আফতাব তাঁকে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করেছিল। পুলিশ শ্রদ্ধাকে বাড়িতে যেতে রাজি করিয়েছিল। যদিও সেই সময় তিনি আতঙ্কিত ছিলেন।’ এদিকে শ্রদ্ধাকে নিয়ে মুখ খোলেন এক চিকিৎসকও। ওজোন মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসক ডঃ শিবপ্রসাদ শিণ্ডে সংবাদমাধ্যমকে বলেন যে শ্রদ্ধার অনেক অভ্যন্তরীণ চোট ছিল।
এদিকে সংবাদমাধ্যমকে রজত শুক্লা নামক শ্রদ্ধার এক কলেজ সহপাঠী বলেন, মৃত্যুর বেশ কয়েক মাস আগেই শ্রদ্ধা ‘এসওএস’ বার্তা পাঠিয়েছিলেন। রজত বলেন, ‘শ্রদ্ধাকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করা হত। তিনি তাঁর বন্ধুকে এই কথা বলেছিলেন। যেহেতু আমরা একই ফ্রেন্ড সার্কেলের অংশ ছিলাম, আমরা সবাই এই বিষয়ে অবগত ছিলাম।’ রজত বলেন, ‘শ্রদ্ধা বলেছিলেন যে তিনি আফতাবকে ছেড়ে যেতে চান। কিন্তু তিনি যাননি।’ রজত আরও দাবি করেন, ‘শ্রদ্ধা তাঁর ছোটবেলার বন্ধুকে তাঁকে উদ্ধার করতে বলেছিলেন। শ্রদ্ধা দাবি করেছিলেন, তাঁকে উদ্ধার করা না হলে তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যাবে।’