দিন দুয়েক আগেই সভাপতির পদ ছেড়েছেন নভোজিৎ সিং সিধু। বৃহস্পতিবার সেই সিধুই বৈঠক করলেন চন্ডীগড়ের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নির সঙ্গে। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য একটি সমণ্বয়কারী প্যানেল তৈরির ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে তাঁদের মধ্যে।প্রায় দু ঘণ্টা আলোচনা চলে তাঁদের মধ্যে। এজি এপিএস দেওল ও ডিজিপি আইপিএস সাহোতাকে অপসারনের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।পাশাপাশি কংগ্রেসের বর্তমান সংকট দূর করার ব্যাপারেও কথাবার্তা বলেন তাঁরা।
এদিকে ক্যাবিনেট মন্ত্রী পারগত সিং, রাজ কুমার ভারকা, পঞ্জাব কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি কুলজিৎ সিং নাগরা, পবন গোয়েল. কেন্দ্রীয় নেতা হরিশ চৌধুরী, অমৃতসর দক্ষিণের বিধায়ক ইন্দিবর বালোরিয়া সহ কয়েকজন পঞ্জাব ভবনের ওই মিটিংয়ে হাজির ছিলেন। সেই মিটিং স্থলে উপস্থিত একজন জানিয়েছেন, সিধু 'সাহাব' নিজের পদেই থাকবেন। তিনি যে বিষয়গুলি তুলেছিলেন ও যে প্রতিশ্রুতিগুলি বকেয়া থেকে গিয়েছে, ভোটের আগে সেগুলি প্রয়োগ করার ব্যাপারে কথাবার্তা হয়েছে।দুপক্ষই তাদের মতামত দিয়েছেন।
এদিকে মঙ্গলবারই টুইট করে পদ ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন সিধু। এনিয়ে কংগ্রেসের অন্দরে ব্যাপক ডামাডোল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অন্য়দিকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে সদ্য বসে চান্নিও নানারকম সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। সেকারনেই এবার দুপক্ষ কাছাকাছি এসে যাবতীয় সংকট মেটানোর চেষ্টা করছেন। মুখ্যমন্ত্রী বুধবারই সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, দলের সভাপতি যেই হোন না কেন, তিনি পরিবারের প্রধান।আমি তাঁকে বলেছি পার্টি হচ্ছে সুপ্রিম, সরকারকে সেই আদর্শ মেনে কাজ করতে হবে।
এদিকে সেই ডাকে শেষ পর্যন্ত সাড়া দিলেন সিধু। বৃহস্পতিবার তিনি চন্ডীগড়ে বৈঠকে বসতে চান। তিনি টুইট করে জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী আলোচনার জন্য আমায় ডেকেছেন। এদিকে গোটা ঘটনা নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। তিনি জানিয়েছেন, সিধুর দলটা চালানো উচিৎ। চান্নির সরকার চালানো দরকার। এনিয়ে নাক গলানো ঠিক নয়।আমি অনেকদিন মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম। অনেকেই সেই সময় পার্টি প্রধান ছিলেন। আলোচনাও করতাম। কিন্তু এভাবে সিধুর মতো পরিস্থিতি তৈরি হত না।