'ক্যাপ্টেন' বনাম 'ওপেনার'-এর লড়াইয়ে কান লাল কংগ্রেস হাইকমান্ডের। এই পরিস্থিতি আগামী বছরের নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের ঘর গোছাতে ময়দানে নামতে হচ্ছে স্বয়ং রাহুল গান্ধীকে। ক্রিকেট জীবনে দলের অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিনের সঙ্গে নবজ্যোত সিং সিধুর মতবিরোধের কথা সর্বজনবিদিত। সেই অধ্যায়েরই যেন পুনরাবৃত্তি ঘটছে সিধুর রাজনৈতিক কেরিয়ারে। এখন সিধুর প্রতিপক্ষ তাঁর দলের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং।
এর আগে সিধু একটি সাক্ষাত্কারে সিধু অভিযোগ করেন, পঞ্জাবের ফায়দা তুলছে দুটি পরিবার। তাঁর এই মন্তব্যের নিন্দা জানানো হয় কংগ্রেসের তরফে। এরপরই এদিন কংগ্রেসে পঞ্জাব বিষয়ক প্যানেলের বৈঠক বসে। সেই বৈঠক শেষে প্যানেলের প্রধান তথা কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খার্গে বলেন, 'সবকিছু ঠিক আছে। আমরা সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে আমরা পরের বছর নির্বাচনে লড়ব। সবাই এক সুরে বলেছেন যে একসঙ্গে নির্বাচনে লড়বে।'
এদিকে মল্লিকার্জুন এই কথা বললেও জানা গিয়েছে আজকের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না সিধু। যা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেস সূত্রের খবর, সিধু আজকে এই বৈঠকে না এসে ভুল বার্তা দিলেন। এদিকে জানা গিয়েছে, 'বিদ্রোহীদের' মন পেতে বৈঠকে বসতে চান রাহুল গান্ধী স্বয়ং।
জানা গিয়েছে, বিদ্রোহী মন্ত্রী সুখজিন্দর রন্ধাওয়া, সুখ সরকারিয়া, ত্রিপ্ত রাজিন্দার বাজওয়া, রাজিয়া সুলতানা, চরণজিৎ চন্নি এবং ভারত ভূষণ আশুর সঙ্গে আগামীকাল বৈঠকে বসবেন রাহুল। সেই বৈঠকে আরও বেশ কয়েকজন বিক্ষুব্ধ বিধায়কেরও থাকার কথা। তবে সিধুর সঙ্গে রাহুল কথা বলবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।