রেলট্র্যাকে অনবরত ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যুর খবর উঠে আসতে থাকে। কখনও মানুষের মৃত্যুর দুসংবাদ, আবার কখনও পশুপ্রাণীর মৃত্যুর খবর উঠে আসে। এই ইস্যুতে সংসদে বিজেপি সাংসদ রামদাস তাড়দাস ও সিপিআইএম সাংসদ রামাস্বামী নটরাজনের প্রশ্নের মুখে পড়েন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো। দেশে ক্রমাগত রেলট্র্যাকে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন করা হয় রেলমন্ত্রীকে।
এদিকে, সেই প্রশ্নের নিরিখে রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০২০ সালের নিরিখে রেলট্র্যাকে ট্রেনের ধাক্কায় মত্যুর সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। তিনি এক লিখিত প্রত্যুত্তরে বলেন, 'ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোতে যে তথ্য সামনে এসেছে ২০২০ সাল পর্যন্ত, তাতে দেখা গিয়েছে রেলট্র্যাকে মৃত্যুর সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। অবৈধভাবে লাইন পার হওয়া, আত্মহত্যা, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার মতো ঘটনা কমেছে। ২০১৯ সালের তুলনায় তা ২০২০ সালে অনেকটাই কমেছে। ' এদিকে, ২০১৮ সালের তুলনায় তা ২০১৯ সালে প্রান্তিকভাবে বেড়েছিল। তিনি জানিয়েছেন এই ধরনের ঘটনায় ২০২১ সালে কতজনের মৃত্যু হয়েছে তা স্পষ্ট করেনি ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো। এদিকে, সরকারী তথ্য অনুসারে, ২০১৯ থেকে ২০২২ (ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) সময়কালে রেলওয়ে ট্র্যাকে ২৩৬ টি পশু মারা গিয়েছিল। এই ২৩৬ টির মধ্যে ৪৮ টি হাতি ছিল যাদের মৃত্যু রেলপথে হয়েছে। পূর্ব-মধ্য অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পশু মারা গিয়েছে, যেখানে এই ধরনের ৯৬ টি ঘটনা ঘটেছে। পূর্ব-মধ্য অঞ্চলের পরে দক্ষিণ পূর্ব মধ্য অঞ্চল ছিল এই পশুপ্রাণীর হত্যার ক্ষেত্রে দ্বিতীয়স্থানে।
উল্লেখ্য, এই ইস্যুতে রেলের তরফে কোনও তদন্ত হয়েছে কি না, সেবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী জানান, 'পুলিশ', 'পাবলিক অর্ডার' হল রাজ্যের বিষয়। রাজ্যগুলি এই বিষয়ে তদন্ত বা এমন মৃত্যু রোখার বিষয়ে সচেষ্ট হবে। মন্ত্রী জানান আইনশৃঙ্খলা ও অপরাধ রোখা তাদের বিষয়। এদিকে, পশুপ্রাণীর মৃত্যু রপখতে একটি কোঅর্ডিনেশন কমিটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, এই কমিটি রেল ও পরিবেশ মন্ত্রকের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে হাতির মত্যুর মতো ঘটনাকে রোখার চেষ্টা করবে।