গাড়িভাড়া ও পারমিটের খরচ নিয়ে কেন্দ্রের চিঠির পরেই নড়েচড়ে বসল সিকিম সরকার। সেরাজ্যে পর্যটকদের থেকে লাগামছাড়া গাড়িভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে যে অভিযোগ কেন্দ্রীয় সরকার তুলেছে তা নিয়ে সোমবার বৈঠক করেন রাজ্যটির পর্যটন দফতরের সচিব। বৈঠক শেষে তিনি পর্যটকদের থেকে ইচ্ছামতো গাড়িভাড়া নেওয়া রুখতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: দাঙ্গা করিয়েছেন, মসজিদ ভেঙেছেন, কার্তিক মহারাজকে ফের বেলাগাম আক্রমণ মমতার
পড়তে থাকুন: মমতার হুমকির পর জলপাইগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনের আশ্রমে হামলা হয়েছে, দাবি মোদীর
বৈঠক শেষে সিকিমের পর্যটন দফতরের প্রধান সচিব কেপি বাসনিক জানিয়েছেন, গাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণে বৈঠকে একাধিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। দরকারে ভাড়ার তালিকা তৈরি করে দেবে রাজ্য সরকার। তার থেকে বেশি ভাড়া নিলে সেই চালক বা ভ্রমণ সংস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। কেউ বেশি ভাড়া নিচ্ছে কি না দেখতে তৈরি করা হবে নজরদারি দল। এছাড়া পর্যটকদের জন্য তৈরি করা হবে গ্রিভান্স সেল। কোনও পর্যটককে বাড়তি ভাড়া দিতে বাধ্য করা হলে অভিযোগ জানাতে পারবেন তিনি। সঙ্গে প্রকাশ করা হবে একটি হেল্পলাইন নম্বর।
ঘটনার সূত্রপাত এপ্রিলের শেষে। গত ২৭ এপ্রিল থেকে ৫ মে সিকিম ভ্রমণে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রকের প্রাক্তন কমিশনার কেপি বাসনিক। দিল্লি ফিরে কেন্দ্রীয় সরকারের গ্রিভান্স সেলে একটি চিঠি লিখে অভিযোগ জানান তিনি। অভিযোগে তিনি বলেন, সিকিমে পর্যটনের পরিকাঠামো উন্নত না হলেও সেখানে বেলাগাম গাড়িভাড়া নিচ্ছে চালক ও ভ্রমণ সংস্থাগুলি। সঙ্গে পারমিটের নামেও লুঠ করা হচ্ছে পর্যটকদের। বলে রাখি, সিকিমের দুর্গম এলাকায় প্রবেশের আগে সেরাজ্যের প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। বিপর্যয়ের সময় উদ্ধারকাজে সুবিধার জন্য প্রতিদিন নির্দিষ্ট সংখ্যক পর্যটককেই দুর্গম এলাকায় যাওয়ার অনুমতি দেয় থাকে সিকিম সরকার।
আরও পড়ুন: গভীর রাতে শিলিগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনের আশ্রমে হামলা, সন্ন্যাসীদের নিগ্রহের অভিযোগ
কেপি বাসনিকের চিঠি পেয়ে গত ১৩ মে সিকিম সরকারকে এব্যাপারে সতর্ক করে পদক্ষেপ করার পরামর্শ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের চিঠি পেয়েই তৎপরতা শুরু করে পাহাড়ি রাজ্যটিক আধিকারিকরা। সোমাবারের বৈঠকে গাড়িমালিকদের সংগঠনগুলিকে রাজ্য প্রশাসনের তরফে কড়া ভাষায় সতর্ক করা হয়েছে বলে খবর। এখন দেখার কেন্দ্রের ধমকের পরে সিকিমের গাড়ি ভাড়ায় রাশ পড়ে কি না।