আবার বিপর্যয় দেখা দিয়েছে সিকিমে। নাগাড়ে ভারী বর্ষণের জেরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এই মুষলধারে চলা বৃষ্টিতে দক্ষিণ সিকিমে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বানভাসী পরিস্থিতিতে ভেসে গিয়েছে এলাকার আটটি বাড়ি। ইয়াঙ্গনের মাজুয়া গ্রাম সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। বিপাকে পড়েছেন সেখানে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা। তবে এখনও এমন অবস্থায় অনেকের খোঁজ মেলেনি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। এখন আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে সিকিমে।
এদিকে লাগাতার বৃষ্টির জেরে ধস নেমেছে সিকিমে। একাধিক এলাকায় ধস নেমেছে। সুতরাং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে দক্ষিণ সিকিম। এখানের মজুয়া গ্রামে পর পর আটটি বাড়ি ধসে গিয়েছে বলে খবর মিলছে। বাড়ির নীচে চাপা পড়েছেন অনেকেই বলে ধরে নেওয়া হয়েছে। তিনজনের দেহ উদ্ধার করা এখনও পর্যন্ত সম্ভব হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন মহিলা আছেন। ওই গ্রামের অনেকের খোঁজ মিলছে না। তাই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নামচির জেলাশাসক অন্নুপূর্ণা অ্যালি জানান, মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে মাজুয়া গ্রামে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়েছে। ইয়াঙ্গনের হেলিপ্যাডকে আশ্রয়স্থল করা হয়েছে। বাসিন্দাদের এই হেলিপ্যাডে সরিয়ে আনা হয়েছে। এখন ৫০টি পরিবার আছে।
আরও পড়ুন: মানিকতলা বিধানসভার উপনির্বাচনই এখন পাখির চোখ, আজ বৈঠক করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো
অন্যদিকে মুষলধারে বৃষ্টির জেরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তার সঙ্গে ধস যোগ হওয়ায় পরিস্থিতি প্রতিকূল হয়ে পড়েছে। রাস্তায় ধস সরানোর কাজ চলছে। মজুয়া গ্রামে ভেঙে পড়া বাড়িগুলির ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজও প্রশাসন করছে। হাত মিলিয়েছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরাও। এই ধস সরাতেই বেরিয়ে আসে একের পর এক মৃতদেহ। খারাপ আবহাওয়ার জেরে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বহু মানুষ আহত হয়েছেন। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ধসের জেরে দক্ষিণ সিকিম এলাকার রাস্তায় যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। জলের নীচে ইয়াঙ্গনের রাস্তা। সিসিনি এলাকার নামফোক পর্যন্ত রাস্তা জলে ভেসে গিয়েছে।
এছাড়া উত্তরবঙ্গে আগেই বর্ষা ঢুকে পড়েছে। তাই কদিন ধরে ভারী বৃষ্টি চলছে সিকিমে। ধসের জেরে একাধিক রাস্তায় যান চলাচাল ব্যাহত হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ধস না সরানো গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক করা সম্ভব নয়। ইয়াঙ্গন সাব–ডিভিশনের প্রতিটি গ্রামেই শোচনীয় অবস্থা হয়েছে। বৃষ্টিতে গ্রামে যাতায়াতের রাস্তা ভেসে গিয়েছে। তাই বন্ধ করে দিতে হয়েছে তেনটেক খোলা ও মাখায় দিখু থেকে সিংতাম পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তা। নাগাড়ে চলা বৃষ্টিই ধসের মূল কারণ বলে জানা যাচ্ছে। এখনও ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা রয়েছে দক্ষিণ সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকায়।