চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও সেই বিস্ফোরণে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডের ভূমিকা সামনে আসতেই সিঙ্গাপুর সরকার তাদের বন্দরে ওই রাসায়নিকের ওঠানামা কমাতে নির্দেশিকা জারি করেছে। সিঙ্গাপুর সরকারের এই সিদ্ধান্তে চট্টগ্রামের ৪ বেসরকারি ডিপো সিঙ্গাপুর বন্দরে রফতানির জন্য মজুত রাখা ১০৫ হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডের কন্টেনারকে নিয়ে সমস্যায় পড়েছে। তবে তাঁরা বিকল্প বন্দরের চিন্তাভাবনা করা শুরু করেছেন।খবর বাংলাদেশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে।
বাংলাদেশ বেসরকারি কন্টেনার ডিপো সংগঠনের এক পদাধিকারি বাংলাদেশ সংবামাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিএম ডিপোর দুর্ঘটনার পর অন্য যে চারটি ডিপোতে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড রয়েছে, সেগুলো দ্রুত কারখানায় ফিরিয়ে নেয়ার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। সিঙ্গাপুর বন্দর দিয়ে পাঠানো না গেলে পোর্ট কেলাং বা অন্য বন্দর দিয়ে পাঠানো সম্ভব কিনা দেখতে হবে। যদি তা সম্ভব না হয়, তবে এসব কন্টেনার নিজ নিজ কারখানায় নিয়ে যেতে বলা হতে পারে।
সীতাকুন্ডের ডিপোয় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরেই ওই ডিপো পরিদর্শনে যান বাংলাদেশ রফতানি সংস্থার এক বিশিষ্ট আধিকারিক। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছন, এই ডিপোর যে পন্যগুলির কোনও ক্ষতি হয়নি সেগুলি কী ভাবে রফতানি করা যায় সেই বিযয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।
ওই আধিকারিক আশঙ্কা প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, এই ১০৫টি কন্টেনার রফতানি না করা গেলে ডিপোগুলির বড় ক্ষতির মুখে পড়বে। যা ডিপোগুলির মালিক ও তাতে কর্মরত শ্রমিক উভয় পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ৪ জুন চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের ডিপোয় আগুন লাগার পলে প্রায় ৫০ জন প্রাণ হারান ও ২০০ জন আহত হন, খবর বাংলাদেশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে।