সিঙ্ঘু সীমান্তে নৃশংসভাবে খুন হওয়া লখবীর সিংয়ের শেষকৃত্য় হল অত্যন্ত নিঃশব্দে। দিল্লির সিঙ্ঘু সীমান্তে নিহাংদের হাতে খুন হতে হয়েছিল লখবীরকে। শেষ পর্যন্ত তার দেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার নিজের গ্রাম চিমাতে। সন্ধ্য়া নামার পর অত্য়ন্ত নিরবে তার দেহ গ্রামে আনা হয়। কোনও ধর্মীয় আচার পালন করা হয়নি। জেলা প্রশাসনের তরফে শোনিপতে শববাহী গাড়ি পাঠানো হয়েছিল। এরপর সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ দেহ পৌঁছায়। গ্রামে দেহ পৌঁছনর পরেই আর দেরি করা হয়নি। দ্রুত শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। পরিবারের মাত্র ৮-১০জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তার শ্বশুর ও স্ত্রী উপস্থিত ছিলেন শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে। এদিকে অশান্তি এড়াতে প্রচুর পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল এলাকায়। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে যেহেতু শিখদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থকে অপমান করার অভিযোগ উঠেছে সেকারণে একাধিক গ্রামবাসী গ্রামে তার শেষকৃত্য নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন। এনিয়ে গ্রামে মিটিংও হয়েছিল। এরপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কারোর পরিবারের সদস্য এই শেষকৃত্যে থাকবেন না। শিখ মর্যাদা দেওয়া হবে না শেষকৃত্যে।
গ্রামের কোনও প্রান্তে কোনও ভোগের অনুষ্ঠানও হবে না বলে ঠিক হয়েছে। তারলোচন সিং সোহাল নামে এক বাসিন্দা বলেন, ওর পরিবারের লোকজনও এনিয়ে একমত রয়েছেন। পাশাপাশি যততাড়াতাড়ি সম্ভব দেহ সৎকার করার জন্যও পরিবারকে বলা হয়েছিল।