ফাইজার বা অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকার একটি ডোজ ডেল্টা প্রতিরোধে কোনও কাজেই প্রায় আসে না। এই পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে এমন ব্যক্তিদের উপর যারা আগে কখনও করোনা আক্রান্ত হননি। সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট টিকার দ্বারা তৈরি কিছু অ্যান্টিবডিকে ফাঁকি দিয়ে দেয় অনায়াসে। তাই করোনা রুখতে বর্তমান সময়ে ফাইজার বা অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার দুটি ডোজের কোনও বিকল্প নেই বলে জানানো হয়েছে। এই রিপোর্টটি 'নেচার' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
এর আগে ইজরায়েলের তরফএ দাবি করা হয়েছিল, ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা নেওয়ার ছ’মাস পর এর কার্যকারিতা হ্রাস পাচ্ছে। ব্লুমবার্গের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইজরায়েলে যাঁদের ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা ৯৪ শতাংশ থেকে নেমে ৬৪ শতাংশ দাঁড়িয়েছে। উল্লেখ্য, কোভিডের বিরুদ্ধে কয়েকদিন আগে জয় ঘোষণা করে দেওয়া ইজরায়েলে সম্প্রতি ডেল্টা প্রজাতির বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে। যার জেরে কপালে চিন্তার ভআঁজ পড়েছএ সেদেশে সরকারের।
এদিকে ফআইজার-বায়োএটেক-এর তরফে প্রকাশিত অপর এক রিপোর্টে এদিন দাবি করা হয় যে করোনার যেকোনও স্ট্রেন রুখতে তৃতীয় বুস্টার ডোজ নিলে তা কার্যকর হবে। শীঘ্রই ওই টিকার অনুমোদনের আবেদন জানানো হবে বলেও জানায় সংস্থা। রিপোর্টে দাবি করা হয়, ভারতে প্রথম সন্ধান মেলা ডেল্টা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিটা প্রডাতির বিরুদ্ধে টিকার তৃতীয় ডোজ বেশি প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম। এদিকে কয়েকদিন আগেই ভারত বায়োটেক জানিয়েছিল, কোভিডের ডেল্টা প্রজাতির ক্ষেত্রে কোভ্যাক্সিন ৬৫.২ শতাংশ কার্যকরী।