সাই বাবার জন্মস্থান হিসেবে পাথরিকে চিহ্নিত করা এবং সেখানে উন্নয়নের জন্য সরকারি অনুদানের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য বনধ ডাকলেন শিরডিবাসী।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের পরভানি অঞ্চলের পাথরিকে ঊনিশ শতকের ধর্মগুরু সাই বাবার জন্মস্থান বলে ঘোষণা করে ১০০ কোটি টাকা অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। প্রতিবাদে বনধ ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাই বাবার সমাধি সৌধের জন্য জনপ্রিয় মন্দিরশহর শিরডির বাসিন্দারা। তাঁদের সমর্থন জানিয়েছেন আশপাশের ২৫টি গ্রামের অধিবাসীরা।
শিরডি সাই সংস্থানের প্রাক্তন ট্রাস্টি কৈলাসবাপু কোটে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় আহত হয়েছেন শিরডি ও সংলগ্ন গ্রামাঞ্চলের মানুষ। তাঁর দাবি, ‘জন্মস্থান প্রমাণ করার জন্য কোনও অকাট্য নথিপত্র নেই। শিরডিতে থাকাকলীন সাই বাবা স্বয়ং তাঁর জন্মস্থান অথবা ধর্ম সম্পর্কে কোনও তথ্য দেননি।’
কোটে জানিয়েছেন, ‘সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া বার্তা দিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বনধ ডাকা হয়েছে। আমাদের আবেগকে আহত করা হয়েছে। বনধ আগাগোড়া শান্তিপূর্ণ হবে এবং তা আমাদের প্রতিবাদ তুলে ধরতেই আহ্বান করা হয়েছে।’
সাইবাবা স্থান ট্রাস্টের সদস্য বি ওয়াকচাউরে জানিয়েছেন, প্রতিবাদের কার্যক্রম স্থির করতে শনিবার সন্ধ্যায় বৈঠকে বসছেন শিরডি সংলগ্ন গ্রামের বাসিন্দারা।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, বনধের প্রভাব পড়বে না শিরডি মন্দির এবং তার অধীনস্থ সাই প্রসাদালয়, সাই হাসপাতাল, সাই ভক্তনিবাস এবং ওষুধের দোকানের উপর। বনধে বেসরকারি বাস চলাচল করলেও বন্ধ থাকবে সরকারি পরিবহণ পরিষেবা, যার ফলে বিপাকে পড়তে পারেন ভ্রমণার্থী ও তীর্থযাত্রীরা।
অন্য দিকে, মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন মন্ত্রী অশোক চহ্বান। মহারাষ্টেরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মরাঠিতে টুইট করেছেন, ‘পাথরিতে অসংখ্য সাইভক্ত ভিড় করেন এবং পাথরি মন্দির ও সংলগ্ন অঞ্চলের উন্নয়নের স্বার্থে অনুদান দেওয়ার ঘোষণাকে স্বাগত জানাই। সাই বাবার জন্মস্থানের উন্নয়ন প্রকল্প থেকে তাঁর ভক্তবৃন্দকে বাদ দেওয়া যাবে না।’