শিশির কুমার অধিকারীকে তলব করল স্বাধিকার ভঙ্গ সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। আগামী ১৪ অক্টোবর তাঁকে কমিটির সামনে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, বারবার শিশিরবাবুর সাংসদ পদ খারিজের দাবি তুলে এসেছে ঘাসফুল শিবির। একাধিকবার লোকসভার স্পিকারকে এই সংক্রান্ত চিঠিও লিখেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের অভিযোগ, শিশির অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাই তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হওয়া উচিত। যদিও দলবদলের কথা বরাবর অস্বীকার করে এসেছেন শিশিরবাবু। যদিও খোদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিজেপির মঞ্চে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
এদিকে গতকালই কাঁথিতে পুজোর উদ্বোধনে বিজেপি বিধায়ক ও নেতাদের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল স্থানীয় সাংসদ শিশির অধিকারীকে। এর পরই তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘটনার কথা দলত্যাগবিরোধী আইনের শুনানিতে উল্লেখ করবে তারা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে অমিত শাহের সভামঞ্চে দেখা যায় কাঁথির তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শিশির অধিকারীকে। তখনও তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ পদ ছাড়েননি। এরপরই শিশিরের সাংসদপদ খারিজের দাবিতে লোকসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন থেকেই টানাপোড়েন চলছে।
এদিকে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ভোটদান থেকে বিরত থাকার কথা ঘোষণা করেছিল। তবে দলের নির্দেশ অমান্য করে শিশিরবাবু ভোট দিয়েছিলেন। এর আগে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ফলাফলের পর শুভেন্দু দাবি করেছিলেন, লোকসভা এবং রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের ৩৪ জন সাংসদের মধ্যে চারজন ক্রস ভোটিং করেছেন। তার মধ্যে দুটি ভোট দ্রৌপদী মুর্মু পেলেও বাকি দুটি ভোট বাতিল হয়েছে। যে দুটি ক্রস ভোট হয়েছিল সেটা হল—কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী এবং তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী বলে অনুমান সকলের। যদিও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কোনও দল হুইপ জারি করতে পারে না। তবে শিশিরবাবু একাধিক কর্মকাণ্ড, মন্তব্যে দলবিরোধী উদাহরণ মিলেছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের।