বুধবার দিল্লির আদালতে ইডির তরফে দাবি করা হয়েছে এক্সাইজ পলিসি মানি লন্ডারিং কেসে ভুরি ভুরি প্রমাণকে নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। তাদের অভিযোগ দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীষ শিসোদিয়া ও অন্যান্য সন্দেহজনকরা বার বার তাদের ফোন বদলে ফেলেছেন। প্রায় ১.৩৮ কোটির আর্থিক প্রতারণাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য় এসব করা হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ।
স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর এন কে মাত্তার মাধ্যমে এই বিষয়টি উত্থাপন করেছিল ইডি। প্রতারণার ঘটনায় অভিযুক্ত অমিত অরোরা নামে এক ব্য়বসায়ীকে ১৪দিনের জন্য় হেফাজতে নেওয়ার আবেদনও করা হয়েছে। ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অভিযুক্তকে ইডির হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
এদিকে ইডির তরফে দাবি করা হয়েছে, তদন্তকে গুলিয়ে দিতে যাবতীয় প্রমাণকে নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। এজেন্সির তরফে দাবি করা হয়েছে, যাবতীয় বড় প্রমাণ সব মোবাইলে ছিল। আর দেখা যাচ্ছে অন্তত ৩৬জন অভিযুক্ত চলতি বছরের মে থেকে অগস্ট মাস পর্যন্ত ১৭০টি মোবাইল ফোন ব্য়বহার করেছেন বা নষ্ট করে ফেলেছেন। ইতিমধ্যেই ইডি ১৭টি ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে। আর দেখা যাচ্ছে সেই ফোনের তথ্য়ও মুছে ফেলা হয়েছে।
এজেন্সির তরফে আদালতে দাবি করা হয়েছে, একাধিক মদ ব্যবসায়ী, সরকারের পদস্থ আধিকারিক, দিল্লি আবগারি মন্ত্রী(শিসোদিয়া), অন্য়ান্য় অভিযুক্তরা বার বার ফোন বদলেছেন। এজেন্সির দাবি, অরোরা অন্তত ১১টি মোবাইলকে নষ্ট করে ফেলেছেন।
তবে তিনিই এই ষড়যন্ত্রের মুখ্য ছিলেন বলেও দাবি করা হয়েছে। আপের জনসংযোগ প্রধান বিজয় নায়ারকে তিনি বিপুল টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ১ কোটি টাকা আবগারি আধিকারিকদেরও ঘুষ দিয়েছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে।
ইডির দাবি, শিসোদিয়ার প্রত্যক্ষ যোগাযোগের মাধ্যমে অরোরা একটি দোকানকে অন্যত্র সরানোর ছাড়পত্রও পেয়েছিলেন।