বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Fake news amendment in IT Rules: ‘ভুয়ো খবর’ নিয়ে ‘দানবীয়’ ক্ষমতা কেন্দ্রের, তোপ ইয়েচুরির, পালটা ‘অজ্ঞতার’ খোঁচা

Fake news amendment in IT Rules: ‘ভুয়ো খবর’ নিয়ে ‘দানবীয়’ ক্ষমতা কেন্দ্রের, তোপ ইয়েচুরির, পালটা ‘অজ্ঞতার’ খোঁচা

বিতর্কিত তথ্যপ্রযুক্তি নিয়মে একটি ধারা যুক্ত করেছে কেন্দ্র। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে পিটিআই)

বিতর্কিত তথ্যপ্রযুক্তি নিয়মে একটি ধারা যুক্ত করেছে সরকার। ওই ধারা অনুযায়ী, কোনও দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান কোনও জিনিসকে (কনটেন্ট) 'ভুয়ো' বলে চিহ্নিত করে দেয়, তাহলে টুইটার, ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাকে নিশ্চিত করতে হবে যে তাদের প্ল্যাটফর্মে সেই কনটেন্ট যেন কেউ পোস্ট না করেন।

‘ভুয়ো খবর’ নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি বিধিতে সংশোধন নিয়ে তরজা শুরু হল সীতারাম ইয়েচুরি এবং রাজীব চন্দ্রশেখরের। সিপিআইএম নেতা ইয়েচুরি দাবি করেন, ‘ভুয়ো খবর’ চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর (পিআইবি) হাতে যে ‘লাগামছাড়া’ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তা দানবীয় এবং অগণতান্ত্রিক। পালটা কেন্দ্রীয় প্রযুক্তি মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল বলছেন ইয়েচুরি অথবা নিজের অজ্ঞতা প্রমাণ করছেন। সেইসঙ্গে তাঁর খোঁচা, নিজের ‘দানবীয় টুইট’ বরং বাম-শাসিত কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে পাঠানো উচিত ‘কমরেড ইয়েচুরির’। যে বিজয়ন সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে অভিযান চালান বলে দাবি করেছেন রাজীব।

২০২১ সালের তথ্যপ্রযুক্তি বিধিতে কেন্দ্র যে সংশোধন করেছে, তা নিয়ে সিপিআইএমের পলিটব্যুরোর বিবৃতির ছবি টুইটারে পোস্ট করে টুইটারে ইয়েচুরি লেখেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করা জিনিসের উপর সেনসরশিপ চালানোর জন্য প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর হাতে যে লাগামছাড়া ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে, তা দানবীয়, অগণতান্ত্রিক এবং অগ্রহণযোগ্য। সেনসরশিপ এবং গণতন্ত্র কোনওভাবে সহাবস্থান করতে পারেন। এই তথ্যপ্রযুক্তি নিয়মে যে সংশোধন করা হয়েছে, তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।’

আরও পড়ুন: Social Media: বাতিল করা আইনেই গ্রেফতার করছে পুলিশ, উদ্বেগ সুপ্রিম কোর্টের

যদিও ইয়েচুরির সেই আক্রমণের পালটা দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব। তিনি বলেন, ‘হয় ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য দিয়ে এই টুইট করা হয়েছে অথবা অজ্ঞতার আড়ালে সেই টুইট করা হয়েছে। কোনও লাগামছাড়া ক্ষমতা প্রদান করা হয়নি। আর সেটা দানবীয়ও নয়। ২০২২ সালের অক্টোবর থেকেই তথ্যপ্রযুক্তি বিধিতে এমন কয়েকটি নিয়ম আছে, যেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, যদি তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৭৯ নম্বর ধারার আওতায় আইনি রক্ষাকবচ বজায় রাখতে চায়, তাহলে সোশ্যাল মিডিয়া মধ্যস্থতাকারীগুলি (ফেসবুক, টুইটারের মতো সংস্থা) কয়েকটি নির্দিষ্ট ধরনের কনটেন্ট চালাতে পারবে না।’

আরও পড়ুন: IT Rule Change: আইটি নিয়মে বদল, সোশ্যাল মিডিয়া সংক্রান্ত অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য তৈরি হবে প্যানেল

তিনি আরও বলেন, 'ভুয়ো খবর বাছাই করার যে ফল মিলেছে, সেগুলি মেনে চলার বা অবজ্ঞা করার সুযোগ থাকবে সোশ্যাল মিডিয়া মধ্যস্থতাকারীগুলির কাছে। যদি সেই বিষয়টি অবজ্ঞা করা হয়, তাহলে যে কোনও সোশ্যাল মিডিয়া মধ্যস্থতাকারীগুলির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করতে পারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক।' সেইসঙ্গে তিনি খোঁচা দেন, 'কমরেড ইয়েচুরি - আপনার দানবীয় টুইটগুলি যদি পিনারাই সরকারকে পাঠিয়ে দেন, তাহলে সেটা সম্ভবত উপযুক্ত হবে। যিনি সংবাদমাধ্যমের চ্যানেলে অভিযান চালিয়ে থাকেন।'

ওই নিয়মের সংশোধনীতে কী বলা হয়েছে?

বৃহস্পতিবার বিতর্কিত তথ্যপ্রযুক্তি নিয়মে একটি ধারা যুক্ত করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। ওই ধারা অনুযায়ী, কোনও দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান কোনও জিনিসকে (কনটেন্ট) 'ভুয়ো' বলে চিহ্নিত করে দেয়, তাহলে টুইটার, ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাকে নিশ্চিত করতে হবে যে তাদের প্ল্যাটফর্মে সেই কনটেন্ট যেন কেউ পোস্ট না করেন। কেন্দ্রের দাবি, ইন্টারনেটের যুগে ভুয়ো খবর এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, তাতে লাগাম টানতেই এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)

বন্ধ করুন