বৃহস্পতিবার ভোররাত্রে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে রাসায়নিক কারখানায় যে গ্যাস লিক হয়, তাতে অন্তত এগারোজন প্রাণ হারিয়েছেন। প্রায় হাজারের ওপর অসুস্থ বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি ৩০০। ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন যে অন্ধ্র্প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে ও যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে মৃতদের পরিবারকে এক কোটা টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। গুরুতর অসুস্থদের দেওয়া হবে ১০ লক্ষ করে। বৃহস্পতিবার ভোর রাত্রে এই গ্যাস লিক হয়ে গোপালাপট্টনমের এলজি পলিমার্স লিমিটেড কারখানায়। ভোর তিনটের সময় গ্যাস লিক হয়ে যখন অধিকাংশ মানুষ ঘুমাচ্ছিলেন। আচমকা তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধে ঘুম ভেঙে যায়। রাস্তায় ছুটে আসেন মানুষ, কিন্তু তীব্র গন্ধের চোটে জ্ঞান হারিয়েছেন অনেকে। অন্যদিকে নিজেদের বাড়িতেই বেহুঁশ হয়ে পড়েন শিশু ও বয়স্করা, বলে জানিয়েছে সহকারী পুলিশ কমিশনার স্বরূপা রানী।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর জরুরি বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং উপস্থিত আছেন। কীভাবে অন্ধ্র সরকারকে ও স্থানীয় প্রশাসনকে সাহায্য করা যায়, সেই নিয়ে আলোচনা চলছে।
জানা গিয়ে এনডিআরএফ-এর বিশেষ বাহিনী ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। কারখানার এক-থেকে দুই কিলোমিটারের মধ্যে আটকে পড়া অধিকাংশ মানুষকেই বার করে আনা হয়েছে।
কীভাবে উদ্ধার কাজ হচ্ছে তা দেখভাল করার জন্য ঘটনাস্থলে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী জগন রেড্ডি। লোকের প্রাণ বাঁচানোর জন্য যা দরকার হয় তা করুন, বলে নিজের পদস্থ আমলাদের নির্দেশ দিয়েছেন জগন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জি কিশন রেড্ডি জানিয়েছেন যে এনডিআরএফকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে ত্রাণ দেওয়ার জন্য। কেন্দ্র দ্রুত আর্থিক সাহায্য পাঠাবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
প্রায় কুড়িটি গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে এই গ্যাস। স্থানীয় কালেক্টর বলেছেন যে ২০০জন অসুস্থ। অনেকেই ফোন তুলছেন না ও বাড়িক মধ্যে আছেন, এতে বাড়ছে উদ্বেগ। ওই অঞ্চলে দুপুর অবধি মানুষকে যেতে মানা করেছেন পদস্থ কর্তারা।
প্রায় ৪০ দিন বন্ধ থাকার পর আজ থেকে খোলার কথা ছিল এলজি পলিমার্স কোম্পানি। প্রথমে আগুন লেগে যায় ও তার থেকেই গ্যাস ছড়িয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান।