সেবক রংপো রেললাইন প্রকল্প পরিদর্শন করলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সংবাদ সংস্থা সূত্রে এমনটাই খবর। রবিবার তিনি এই রেল সংযোগ ব্যবস্থার নানা দিক খতিয়ে দেখেন। রেলমন্ত্রী সেবকে সংযোগকারী অংশটি ভালো করে খতিয়ে দেখেন। এটিকে সিকিমের গেটওয়ে হিসাবে গড়ে তোলার জন্য় তিনি নির্দেশ দেন। কার্যত এই রেলপ্রকল্প তৈরি হলে রেলপথেই ভারতের অন্য়ান্য প্রান্তের সঙ্গে সিকিমের সংযোগ করা সম্ভব হবে। বর্তমানে কেবলমাত্র সড়কপথেই সিকিমের সঙ্গে সংযোগ করা যায়। ৩১ এ জাতীয় সড়কের মাধ্যমে সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। কিন্তু ভরা বর্ষায় এই পথ বার বারই বন্ধ হয়ে যায়। মূলত ধসের জেরে এই রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। তবে এবার এই সড়কপথের বিকল্প হিসাবে আসছে সেবক -রংপো রেল যোগাযোগ।
সিকিমে যাওয়ার নাম হলেই অনেকেরই মাথায় আসে সেই ধসের কথা। তাছাড়া ওই রাস্তায় গাড়ির চাপও ক্রমশ বাড়ছে। সেক্ষেত্রে রেলপথের দাবি উঠছিল দীর্ঘদিন ধরেই। এবার সেই পথই খোলার অপেক্ষায়। কাজও চলছে পুরোদমে।
বিবৃতিতে অনুসারে জানা গিয়েছে গ্য়াংটকের সঙ্গে পরবর্তী সময় এর যোগাযোগ হবে। পরবর্তী ধাপে একেবারে ভারত-চিন সীমান্ত পর্যন্ত চলে যাওয়া যাবে রেলপথে। একেবারে নাথুলা পর্যন্ত যাওয়া যাবে এই রেলপথে। শুধু সাধারণ যাত্রীদের জন্য় নয়, প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে এই রুট। এবার সংক্ষেপে জেনে নেওয়া যাক এই রুট সম্পর্কে।
সব মিলিয়ে এই প্রকল্পের অনুমোদিত খরচ ৪০৮৬ কোটি। সব মিলিয়ে ১৪টি টানেল, ২১টি ব্রিজ, পাঁচটি স্টেশন হতে পারে গোটা প্রকল্পে। এই প্রজেক্টের জন্য মহানন্দা ওয়াইল্ড লাইফ ও অন্যান্য জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে রেললাইন পাতার ছাড়পত্র মিলেছে। ১৪টি টানেল, ১৩টি বড় ব্রিজ তৈরির চুক্তি করা হয়েছে। সেভক, রিয়াং, মেল্লি, রংপোতে কাজ হচ্ছে।
এদিকে সূত্রের খবর, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে বন্দে ভারতে চেপে আপনি সিকিমের রংপোতে চলে যেতে পারবেন। এমন চর্চাও চলছে। এদিকে এই রেলপথে একাধিক টানেল ও ব্রিজ থাকছে। পাহাড়ি দুর্গম পথে পাতা হচ্ছে রেললাইন। সেকারণে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। বাংলার সেভক থেকে সিকিমের রংপো পর্যন্ত এই রেললাইন প্রাথমিকভাবে পাতা হচ্ছে। পরে ধাপে ধাপে এর সম্প্রসারণ করা হবে বলে খবর। এর জেরে সিকিমের যোগাযোগে কার্যত বিপ্লব আসবে।