কমপক্ষে ছ'জন ব্যাঙ্কের সিইওয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে সিবিআই ও ইডি। মঙ্গলবার লোকসভায় লিখিতভাবে একথা জানালেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তবে কাউকে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানান তিনি।
অনুরাগ জানান, পাবলিক ইন্টারেস্ট ডিসক্লোজার অ্যান্ড প্রোটেকশন অফ ইনফরমার্স রেজোলিউশনের (পিআইডিপিআই) গাইডলাইন অনুযায়ী, 'হুইসল ব্লোয়ার'-রা অভিযোগ করলে জাতীয় ভিজিল্যান্স কমিশনকে (সিভিসি) তা নিয়ে পদক্ষেপ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, কেন্দ্রের যে কোনও মন্ত্রক বা দফতর বা কোনও মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থার কর্মী যদি লিখিতভাবে দুর্নীতি বা ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ জমা দিতে চান, তাহলে তা গ্রহণ করবেন মুখ্য ভিজিল্যান্স অফিসার। তিনিই মন্ত্রক ও কেন্দ্রের বিভিন্ন দফতরের মনোনীত কর্তৃপক্ষ।
গত কয়েক বছরে কয়েকটি ব্যাঙ্কে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। ফলে ব্যাঙ্কের প্রশাসনিক ব্যবস্থাও জোরদার করা হচ্ছে বলে জানান অনুরাগ। তিনি জানান, বোর্ড পর্যায়ে চেয়ারম্যান ও ম্যানেজির ডিরেক্টরের পদ দু'ভাগে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। নয়া যে পদ তৈরি হয়েছে, সেগুলি হল এমডি, সিইও এবং চেয়ারম্যান। পাশাপাশি, নন-এগজিকিউটিভ চেয়ারম্যান ও পূর্ণ সময়ের ডিরেক্টর মনোনয়নের জন্য একটি পেশাদারি ব্যাঙ্কস বোর্ড ব্যুরো তৈরি করা হতি করা হয়েছে।
এছাড়াও, বড় অঙ্কের ঋণের দেওয়ার ক্ষেত্রে নজরদারি ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। অর্থ প্রতিমন্ত্রী জানান, ২৫০ কোটি টাকার বেশি ঋণের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ এজেন্সি নজরদারি চালাবে।