একেবারে মর্মান্তিক মৃত্যু। মেঘালয়ের পূর্ব জয়ন্তিয়া জেলায় কয়লাখনিতে কাজে নেমেছিলেন শ্রমিকরা। কিন্তু সেখানে বৃষ্টির জল জমে আগে থেকেই মৃত্যু ফাঁদ তৈরি হয়েছিল। খনির ৫০০ ফুট গভীরতায় জলে ডুবে যান ৬ শ্রমিক। তাঁদের মৃত্যু হয়েছ এমনটাই সন্দেহ করা হচ্ছে। সম্ভবত সাতজন ওই জলের ফাঁদে পড়ে যান। এদিকে করিমুল বারি নামে এক বাসিন্দার টুইটেই প্রথম বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তিনি টুইট করে লেখেন দুদিন ধরে কয়েকজন ওই খনির ভেতর আটকে আছে। কিন্তু উদ্ধার করার মতো কেউ নেই। এরপরই বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হয়।
পূর্ব জয়ন্তিয়ার ডেপুটি কমিশনার ই খারমালকি হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, সতর্কতা জারি করা হয়েছে ও জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।পুলিশ, দমকল, এনডিআরএফ, জেলা দুর্যোগ মোকাবিলা দফতরের লোকজন উদ্ধারকাজে নেমেছে। ইস্টার্ন রেঞ্জের আইজিপি জানিয়েছেন, ব্যাপকভাবে উদ্ধারকাজ চলছে। আইজিপি মুকেশ কুমার সিং বলেন. দ্রুতগতিতে কাজ চলছে। আশা করছি কিছু ফলাফল মিলবে। উদ্ধারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা রয়েছি।
প্রসঙ্গত এই ধরণের মর্মান্তিক খনি দুর্ঘটনা মেঘালয়ে এই প্রথম নয়। গত ২১শে জানুয়ারিও একই ধরণের ঘটনা হয়েছিল স্থানীয় একটি খনিতে। সেবার ৬জনের মৃত্যু হয়েছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর , আসলে একটি ক্রেনকে পাঠানো হয় মাটির নীচে। সেটা চেপেই শ্রমিকরা মাটির নীচে খনন কাজ চালান। কিন্তু সেই কাজ কতটা বৈধ সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। ২০১৮ সালের ১৩ই ডিসম্বর এই জেলাতে এভাবেই খনির ভেতর জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছিল ১৫জন শ্রমিকের।