বছর দশেক ধরে এলাকায় মধু বিক্রি করতেন। বুধবার সকালে বাড়ি থেকেই উদ্ধার হল এক প্রৌঢ়ের দেহ। একইসঙ্গে তাঁর স্ত্রী, দুই মেয়ে এবং দুই ছেলের দেহও উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, তাঁদের খুন করা হয়েছে। ঘটনাটি ওড়িশা বোলাঙ্গির জেলার।
সপরিবারে পাটনাগঢ় ব্লকের সানরাপাদা গ্রামে থাকতেন বুলু জানি (৫০)। বছর দশেক ধরে এলাকায় মধু বিক্রি করতেন। সকাল হয়ে গেলেও বুধবার পরিবারের কেউ দরজা খোলেননি। দীর্ঘক্ষণ দরজা বন্ধ থাকায় সন্দেহ হয়। প্রতিবেশিরা জানালা দিয়ে দেখতে পান, মেঝেতে বুলু-সহ ছ'জনের দেহ পড়ে আছে। পরে বাড়ির ভিতর থেকে বুলু, তাঁর স্ত্রী জ্যোতি, দুই মেয়ে সরিতা ও শ্রেয়া এবং দুই ছেলে ভীষ্ম ও সঞ্জীবের দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রত্যেকের দেহ কম্বলের মধ্যে জড়ানো ছিল। ঘটনাস্থল থেকে একটি কুড়ুলও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বোলাঙ্গিরের পুলিশ সুপার মাদকর সন্দীপ সম্পদ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে প্রতিবেশীরা বুলুর বাড়িতে চেঁচামেচি শুনতে পান। তবে তাঁরা নিজেদের মধ্যেই ঝগড়া করছিলেন। তিনি বলেন, ‘আদতে কী হয়েছে, তা এখনও বোঝা কঠিন। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁদের খুন করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি কুড়ুল উদ্ধার করা হয়েছে।’
ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেছেন পুলিশের একটি দল এবং ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। ময়নাতদন্তের জন্য ছ'জনের দেহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।