স্মৃতিকাক রামচন্দ্রন
কৃষি বিল নিয়ে বিক্ষোভের পুরোভাগে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দিল্লিতে যেমন তৃণমূলের প্রতিনিধিত্ব করছেন ডেরেক ও ব্রায়েন, রাজ্যে সুর চড়াচ্ছেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি কৃষক বিরোধী, এই প্রচারে ব্যস্ত তৃণমূল। কিছুদিন বাদেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। সেই সময় তৃণমূল যাতে এটিকে হাতিয়ার না করে উঠতে পারে, তার জন্য উঠে পড়ে লাগল বিজেপি। এক ডজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বাংলায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
বুধবার দলের রাজ্য শাখার প্রতিনিধিরা গিয়ে দেখা করেন সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে। সেখানেই কৃষি বিল নিয়ে তৃণমূলের অস্ত্র ভোঁতা করার জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে ঠিক হয়েছে যে দলীয় কর্মীদের হত্যায় সিবিআই তদন্তের দাবি করবে বিজেপি। এই নিয়ে হাইকোর্টে যাওয়ার তোড়জোড় করছে রাজ্য।
সূত্রের খবর দিলীপ ঘোষের নেতৃত্ব কোর টিম ছয় জন মন্ত্রীকে রাজ্যে পাঠাতে অনুরোধ করেছেন। এরা হল স্মৃতি ইরানি, পীযূষ গোয়েল, নরেন্দ্র তোমার, ধর্মেন্দ্র প্রধান, কিরণ রিজিজু ও প্রহ্লাদ প্যাটেল।
এই বিলের বিরুদ্ধে রবিবার রাজ্যসভায় মারাত্মক ঝামেলা হয়। ডেপুটি চেয়ারম্যানের সঙ্গে বাদানুবাদ, মাইক ভাঙা ও বিল ছেঁড়ায় লিপ্ত হন বিরোধী সাংসদরা। পরে তৃণমূলের দোলা সেন ও ডেরেক ও ব্রায়েন সহ আটজনকে সাসপেন্ড করা হয় রাজ্যসভা থেকে।
তারপর থেকেই বিরোধিতার সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে এই কৃষি বিলগুলি আইন হলে চাষীদের সর্বনাশ হবে, দেশে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি দেখা দেবে। এই প্রচারকে রোখার জন্যই মন্ত্রীদের মাঠে নামাচ্ছে বিজেপি।
এদেরকে নির্বাচিত করা হয়েছে কারণ এরা আগেও বাংলায় কাজ করেছেন, ভাষাটি সম্বন্ধেও ধারণা আছে। অধিকাংশ সভাই ভার্চুয়ালি হবে তবে কোভিড নিয়ম মেনে মাঠে ঘাটেও কিছু করা হবে বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে।
বাংলায় পোস্টারও বিলি করা হবে কৃষি বিল নিয়ে মানুষের কাছে বিজেপির বক্তব্য তুলে ধরার জন্য। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় জানান যে এই বৈঠকে সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে বিলগুলি নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন, সেটা তারা রুখবেন, বলে দাবি করেন বাবুল সুপ্রিয়।
বুধবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গিয়া, অরবিন্দ মেনন ও মুকুল রায়। কৃষি বিল ছাড়াও দলীয় কর্মীদের মৃত্যু নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়। এই নিয়ে হাই কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৈঠকে।