প্রসূন কে মিশ্র
বুধবার রাতে বিহারের ভাবুয়া শহরের উপকণ্ঠে তুমুল অশান্তি। এক সমৃদ্ধশালী কৃষককে বাঁচাতে গিয়ে জনতার ক্ষোভের মুখে পড়ল পুলিশের টিম। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ। এর জেরে SDPO, SHO সহ অন্তত ৬জন পুলিশ আধিকারিক ও কনস্টেবল জখম হয়েছেন।
এদিকে পুলিশের কাছে খবর এসেছিল ওই গ্রামে একজন ধনী কৃষককে আটকে রাখা হয়েছে। খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ এলাকায় যেতেই স্থানীয় বাসিন্দারা ঘিরে ফেলে।এরপর শুরু হয় পাথরবৃষ্টি। এই ঘটনায় একাধিক পুলিশকর্মী, আধিকারিক আহত হয়েছেন। সাব ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার সুনীল কুমার, এসএএইচও রমানন্দ মণ্ডল, সাব ইনসপেক্টর বিনয় কুমার, কনস্টেবল সঞ্জয় মিশ্র, ঋতেশ কুমার ও অজিত সিং হামলায় মারাত্মকভাবে জখম হয়েছেন। পুলিশ এনিয়ে ইতিমধ্য়েই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে। কারা এই ঘটনায় যুক্ত সেটাও খতিয়ে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
ঘটনার খবর পেয়েই এসপি ললিত মোহন শর্মা পুলিশবাহিনীকে নিয়ে এলাকায় পৌঁছায়। এরপর জখম কৃষক অভয় প্রতাপ সিংকে উদ্ধার করে ভাবুয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।পুলিশ লাঠিচার্জ করে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর ১২জন হামলাকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। এদিকে অভয় প্রতাপ সিংয়ের বিরুদ্ধেও এক কিশোরকে আটকে রাখার পালটা অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, অভয় প্রতাপ নামে ওই কৃষক গ্রামেরই পাঁচ বছরের শিশু অভিষেককে অপহরণ করে, মারধর করে বাড়িতে আটকে রেখেছিল বলে খবর।গোলা থেকে ধান চুরি করা হয়েছে এই অভিযোগে তাকে আটকে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এদিকে বুধবার থেকে ওই শিশুর কোনও খোঁজ মিলছিল না। এরপর ওই শিশুকে ভাবুয়াতে এক কৃষকের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। সেখানে ওই শিশুকে বেঁধে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তার সারা শরীরে জখমের চিহ্ন ছিল প্রচুর। এরপর তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এসপি জানিয়েছেন, ভাবুয়া থানায় দুটি মামলা রুজু করা হয়েছে। একটি হল অপহরণ করে শিশুকে আটকে রেখে দেওয়া, তাকে মারধর করা। অন্য়দিকে অপর একটি মামলা করা হয়েছে পুলিশকর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ অত্য়ন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে পুলিশ। ওই শিশুর কাছ থেকে বয়ান নথিবদ্ধ করা হয়েছে। কেন তাকে ওইভাবে বন্দি করে রাখা হয়েছিল তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।