একদিকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে। অন্য়দিকে আবার কিছুটা সুর নরম করে আলোচনার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। তারইমধ্যে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হল, পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের মতো 'গুরুতর বিষয়'-এর সমাধান ‘নায্যভাবে’ করার বিষয়ে একমত হয়েছে দু'দেশ।
দৈনন্দিন সাংবাদিক বৈঠকে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, ‘উপত্যকায় সংঘর্ষের ফলে যে গুরুতর পরিস্থিতির সূত্রপাত হয়েছে, তা নায্যভাবে সমাধানের বিষয়ে রাজি হয়েছে দু'পক্ষই (ভারত এবং চিন)। কম্যান্ডার পর্যায়ের বৈঠকে যে ঐক্যমতে পৌঁছানো হবে, তা যৌথভাবে পালন করা হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব উত্তেজনা কমানো করা হবে এবং শান্তি ও স্থিতাবস্থা সুরক্ষিত করা হবে।’
বৃহস্পতিবার মোট ছ'টি প্রশ্নের উত্তর দেন ঝাও। কিন্তু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেই একই বিবৃতি আওড়ে যান। সংঘর্ষে চিনা সেনায় হতাহতের সংখ্যাও যথারীতি প্রকাশ করেননি। তবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারত চিনের কোনও কাঠামো ভাঙতে আসার ফলে শুরু হয়েছিল কিনা, সেই প্রশ্নের জবাবে বেজিংয়ের প্রতিনিধি আবারও ভারতীয় সেনার উপর যাবতীয় দোষ চাপান।
পাশাপাশি ভারত-চিন সীমান্ত গালওয়ান নদীর গতিপথ রুদ্ধ করতে চিন কোনও বাঁধ তৈরি করছে কিনা, সে প্রশ্নেরও কোনও জবাব দেননি তিনি।
ঝাওয়ের সাংবাদিক বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগে তাঁরই মন্ত্রকের সহকর্মী তথা মন্ত্রকের তথ্য বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেল হুয়া চুনইং বলেন, 'বর্তমান পরিস্থিতিকে ভারত যেন ভুলভাবে বিবেচনা না করে বা চিনের আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে চিনের দৃঢ় প্রতিজ্ঞাকে যেন ছোটো করে না দেখে।' তারপর যথারীতি ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে চিনের ভূখণ্ডে ঢোকার অভিযোগ তুলেছেন। তবে চিনের হতাহতের সংখ্যা সে বিষয়ে তিনিও কোনও শব্দ খরচ করেননি।