কালীপুজো ও দীপাবলীতে আতসবাজি পোড়ানোর উপরে রাজ্য সরকারগুলির নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রতিবাদ জানাল আরএসএস-এর শাখা সংগঠন স্বদেশী জাগরণ মঞ্চ। তাদের দাবি, জাতীয় পরিবেশ ইঞ্নিয়ারিং গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ দ্বারা অনুমোদিত ‘সবুজ আতসবাজি’ পোড়ানোর অনুমতি দিক প্রশাসন, কারণ ওই বাজিতে ৩০% কম বায়ুদূষণ হয়।
শুধু তাই নয়, আতসবাজি নিষিদ্ধ করায় তামিল নাডু, পশ্চিমবঙ্গ ও দেশের অন্যান্য প্রান্তে থাকা বাজি শিল্পের বড়সড় ক্ষতি হয়ে যাবে বলেও দাবি, এসজেএম-এর।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান, দিল্লি ও কর্নাটক ইতিমধ্যেই সবুজ আতসবাজি-সহ সব রকম বাজির উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এসজেএম-এর দাবি, আতসবাজির দরুণ বায়ুদূষণ বৃদ্ধি নিয়ে মিথ্যা প্রচারের ফলেই দীপাবলিতে বাজি পোড়ানোর উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তাদের মতে, চিন থেকে চোরাপথে আমদানি করা বাজির জেরেই দূষণ বৃদ্ধি পায়। ওই সব বাজিতে পটাশিয়াম নাইট্রেট-এর সঙ্গে গন্ধক মেশানোর ফলেই দূষণ ঘটে, এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছেন এসজেএম-এর সহ-আহ্বায়ক অশ্বিনী মহাজন।
তাঁর দাবি, ভারতে তৈরি দূষণহীন আতসবাজিতে এই দুই উপাদান নেই। এমনকি অ্যালুমিনিয়াম, লিথিয়াম, আর্সেনিক ও পারার মতো বিষাক্ত উপাদানও ভারতীয় বাজিতে মেশে না বলে জানিয়েছেন মহাজন।
তিনি আরও জানিয়েছেন, দিল্লি, পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকদের ধানগাছের গোড়া পুড়িয়ে দূষণ সৃষ্টির বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছে প্রশাসন।
সমস্যার সমাধানে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে দূষণ রোধে স্থায়ী সমাধান খুঁজতে রাজ্য সরকারগুলির কাছে আবেদন জানিয়েছে এসজেএম। বাজি শিল্পের উপরে নির্ভরশীল কয়েক লাখ মানুষের জীবিকার কথা ভেবেই এই পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছে এসজেএম।