রাহুল সিং
দেশের উপগ্রহ ব্যবস্থা কতটা সক্রিয় রয়েছে তারই মহড়া দিল সেনাবাহিনী। আগামীদিনে কোনও সংঘাত হলে দেশের উপগ্রহ সংযোগ ব্যবস্থা কতটা সহনশীল সেটাও পরখ করে দেখা হয়েছে। আর্মির এই স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন অ্যাসেটকে ২৫ জুলাই থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত কার্যকরী করা হয়েছিল। তার সাংকেতিক নাম দেওয়া হয়েছে স্কাইলাইট। তবে সুরক্ষার জন্য গোটা ব্যবস্থাটিতে গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়েছে।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাশিয়া, ইউক্রেন সংঘাতকে ঘিরে নতুন করে শিক্ষা নিচ্ছে একাধিক দেশের সেনাবাহিনী। চিনের সঙ্গে যে উত্তরের সীমান্ত রয়েছে সেটাও উদ্বেগের একটি বিষয়। সেকারণে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে সেনা বাহিনী। মূলত ভূগঠনগত একটি সমস্যা ওই সীমান্তে থেকেই গিয়েছে।
মূলত সেনার অন্দরে এরোস্পেস টেকনোলজি কতটা রয়েছে সেটাও দেখা হচ্ছে। আধিকারিকদের মতে, সেনার হাতে ইসরোর একাধিক উপগ্রহ, যানবাহনের মাথার উপরে থাকা পোর্টেবল টার্মিনাল, মানুষের দ্বারা বহনকারী টার্মিনাল রয়েছে। এই মহড়া চলাকালীন সমস্ত স্যাটেলাইট ব্যবস্থাকে কার্যকর করা হয়েছিল। ইসরোও এই মহড়ায় অংশ নিয়েছিল।
প্রাক্তন ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল বিনোদ ভাটিয়া জানিয়েছেন, নতুন যুগের যুদ্ধে স্পেস একটি জটিল ক্ষেত্র। এদিকে সূত্রের খবর আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে সেনা চাইছে নিজের জন্য একটি স্যাটেলাইটের ব্যবস্থা করতে। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই ধরণের উপগ্রহের ব্যবস্থা থাকলে শুধু পদাতিক সেনাদের জন্য নয়, সর্বক্ষেত্রে এটা সহায়তা করবে।