সিলি সোলস ক্যাফে বিতর্কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির কড়া সমালোচনা কংগ্রেসের। বুধবার কংগ্রেস অভিযোগ করে, পারিবারিক সংস্থা, এইটল ফুড অ্যান্ড বেভারেজকে বরাদ্দ করা জিএসটি নম্বর, ও বারের জন্য বরাদ্দ নম্বর- দু'টিই এক। এ বিষয়ে কংগ্রেস গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তের মন্তব্য দাবি করেছে।
কংগ্রেসের মুখপাত্র গিরিশ চোদনকার বলেন, 'এই নিয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশই নেই যে, স্মৃতি ইরানি এবং তাঁর পরিবার এই সিলি সোলস ক্যাফে অ্যান্ড বার চালান। তিনি এখন আর কিছু লুকাতে পারবেন না। তিনি একজন মজ্জাগত মিথ্যাবাদী।'
তিনি অভিযোগ করেন, সিলি সোলসের ঠিকানা এবং স্মৃতি ইরানির স্বামীর দ্বারা পরিচালিত এইটল ফুড অ্যান্ড বেভারেজের তালিকাভুক্ত ঠিকানা একই। শুধু তাই নয়, এইটলকে বরাদ্দ করা জিএসটি নম্বরও সিলি সোলসকে বরাদ্দকৃত নম্বরের অনুরূপ, দাবি তাঁর।
সম্প্রতি সিলি সোলসের মদের লাইসেন্সকে কেন্দ্র করে এই বিতর্কের সূত্রপাত হয়। অভিযোগ, এই বারের মালিক একজন মৃত ব্যক্তির নাম ব্যবহার করে রেস্তোঁরার মদের লাইসেন্স রিনিউ করেছেন। স্মৃতি ইরানি এবং তাঁর ১৮ বছর বয়সী মেয়ে জোয়েশ এই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। কংগ্রেস নেতাদের দাবি, মা-মেয়ে এই অবৈধ বার চালান। এর পরিপ্রেক্ষিতে আবার স্মৃতি ইরানি কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে পাল্টা মানহানির মামলা করেন।
সোমবার দিল্লি হাই কোর্ট জানিয়ে দেয় যে, স্মৃতি ইরানি ও তাঁর মেয়ে যে গোয়ায় কোনও পানশালা বা রেস্তোরাঁ চালান, এমন কোনও তথ্যপ্রমাণ মেলেনি। স্মৃতির দায়ের করা দু’কোটি টাকার মানহানির মামলার অভিযোগে সায় দিয়েছে দিল্লির উচ্চ আদালত।
গিরিশ চোদনকার আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেন, 'স্মৃতি ইরানির মিথ্যা বলার ইতিহাস রয়েছে। এর আগে তিনি তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ভুল তথ্য দিয়েছেন। ২০১৯ সালে তিনি লোকসভা আসনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় বলেছিলেন যে, তাঁর সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা ১৯৯৪ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় (DU) থেকে বাণিজ্য স্নাতকে পার্ট ওয়ান।
কিন্তু, ২০০৪ সালে চাঁদনি চক, দিল্লি থেকে জমা দেওয়া হলফনামায়, তিনি দাবি করেছিলেন যে, তিনি ১৯৯৬ সালে ঢাবির স্কুল অফ করেসপন্ডেন্স থেকে বিএ করেছেন।'
এই বিষয়ে বিজেপির মুখপাত্ররা কোনও মন্তব্য করতে চাননি।