দেশে গত তিন বছরের নিরিখে পুত্র সন্তানদের থেকে কন্যা সন্তানদেরই বেশি দত্তক নেওয়া হয়েছে। এই তথ্য সংসদে পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় শিশু ও নারীকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সংসদের এক প্রশ্ন উত্তর পর্বে স্মৃতি ইরানি বলেন, একটি শিশুকে আর অপেক্ষা করতে হবে না দত্তক হিসাবে গৃহিত হওয়ার জন্য যদি দেশে আরও বেশি অভিভাবক এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে প্রস্তুত থাকেন।
সংসদে এক প্রশ্ন উত্তর পর্ব চলাকালীন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেন, একটি সন্তানকে দত্তক নিতে আইনি পর্বই সম্পন্ন হয় ২ বছর ধরে। তারপর একজন অভিভাবক শিশুকে দত্তক নিতে পারেন। ফলে অপেক্ষার পালা অনেকটাই লম্বা হয়। এই মাঝের অপেক্ষা ও আইনি পর্বের সময়কাল যাতে কম হয়, তার জন্য কেন্দ্র আইন সংস্কারের প্রস্তাব রাখছে। স্মৃতি ইরানি বলছেন, বহু ক্ষেত্রে একটি শিশুকে দত্তক হিসাবে গ্রহণ করতে মোট সময়কালই লেগে যায় সর্বোচ্চ ৩.৫ বছর। সংসদকে স্মৃতি ইরান জানান, ‘চলতি বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর আমরা একটি নতুন রেগুলেশন নোটিফাই করেছি। কারণ প্রায় ৯০০ টি কেস রয়েছে বিভিন্ন হাইকোর্টে অপেক্ষারত রয়েছে। নতুন রেজোলিউশনে বিভিন্ন রাজ্য উদ্যোগ নেওয়ায় ৫৮০ জন শিশু ইতিমধ্যেই দত্তক হিসাবে গৃহিত হয়ে গিয়েছে। ‘ স্মৃতি ইরানি জানাচ্ছেন এমন শিশুদেরও দত্তক নেওয়া হয়েছে, যারা ’হার্ড টু প্লেস’ ক্যাটেগোরিতে রয়েছে। এরা সকলেই শিশু হিসাবে বেশি বয়সের ক্যাটেগোরিতে ছিল, আগে এই পর্যায়ের বয়সীদের দত্তক গ্রহণ সাধারণত হত না।
সংসদকে দেওয়া তথ্যে স্মৃতি ইরানি জানিয়েছেন, উর্ধ্বসীমার বয়সী শিশুদের দত্তক গ্রহণ এখন থেকে করতে পারবেন এনআরআই ও ওসিআই কার্ড হোল্ডাররাও। স্মৃতি ইরানি বলেন, 'কোনও শিশুকে দত্তক হিসাবে গৃহিত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না, যদি আরও অভিভাবকরা প্রস্তুত থাকেন দত্তক নিতে। এক সহমর্মী সমাজের প্রতীক সেটাই। অভিভাবকদের অপেক্ষা করতে হবে, তবে শিশুদের নয়।'