বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > মুখের মধ্যে সোনা পাচার! দিল্লি বিমানবন্দরে ধৃত ‌২ উজবেকিস্তানের নাগরিক

মুখের মধ্যে সোনা পাচার! দিল্লি বিমানবন্দরে ধৃত ‌২ উজবেকিস্তানের নাগরিক

মুখের মধ্যে সোনা পাচার! দিল্লি বিমানবন্দরে ধৃত ‌২ উজবেকিস্তানের নাগরিক: ছবি ( সৌজন্য টুইটার )

অভিযুক্তদের মুখের মধ্যে লুকোনো ৯৫১ গ্রাম সোনা উদ্ধার করেছে শুল্ক বিভাগের এয়ার ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। এমনকী, দাঁতের মাড়ির নীচে সোনার চেনও লুকোনো ছিল বলে সূত্রের খবর।

শরীরের স্ক্যান করতে গিয়ে মুখের মধ্যে ধাতুর উপস্থিতি টের পেয়েছিলেন শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা। উজবেকিস্তান থেকে আসা দুই নাগরিকের মুখ খোলাতেই তার মধ্যে ‘‌স্বর্ণ গহ্বর’‌ দেখে, থ হয়ে যান অফিসাররা। 

শুধু দাঁতই নয়, সোনায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল মাড়িও। শুক্রবার অভিনব কায়দায় সোনা পাচার করতে গিয়ে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হল দুই উজবেকিস্তানের নাগরিককে। অভিযুক্তদের মুখের মধ্যে লুকোনো ৯৫১ গ্রাম সোনা উদ্ধার করেছে শুল্ক বিভাগের এয়ার ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। এমনকী, দাঁতের মাড়ির নীচে সোনার চেনও লুকোনো ছিল বলে সূত্রের খবর।

শুল্ক বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুবাই হয়ে দিল্লি বিমানবন্দরে নেমেছিল দুই অভিযুক্ত উজবেকিস্তানের নাগরিক। বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় কাস্টমস চেকিংয়ে ধরা পড়ে যান ওই দুই ভিনদেশী পাচারকারী। তারপরেই অভিযুক্তদের আটক করে তল্লাশি চালানো হয়। সোনা উদ্ধারের পর তাদের গ্রেফতার করেন বিমানবন্দরের আধিকারিকরা।

ধৃতেরা এত পরিমাণে সোনা কোথায় পাচার করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছছিল, তা তাদের জেরা করে জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

অন্য দিকে, দিল্লি বিমানবন্দরে জামার কলার ও হাতার ভাঁজে ৫০০ গ্রাম সোনার পেস্ট পাচারের অভিযোগে আরও দুই পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা। দুবাই থেকে ফেরার পথে দিল্লি বিমানবন্দরে ওই দুই যাত্রীদের আটক করা হয়। শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দুবাই থেকে আসা দুই যাত্রীর জামার কলার ও হাতার ভাঁজ থেকে ৫৬০ গ্রাম সোনার পেস্ট উদ্ধার করা হয়েছে। শুল্কদফতর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে একজন বিহারের দারভাঙ্গা জেলার বাসিন্দা মহম্মদ উমর আলি (‌৩১)‌ ও উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের বাসিন্দা ধর্মেন্দ্র রাজভর (‌২৬)‌। দুবাই থেকে এফজেড ৪৩১ বিমানে দুবাই থেকে দিল্লিতে নামে অভিযুক্তরা। 

তবে শুল্ক দফতর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তল্লাশি ও ব্যাগেজ এক্স-রে করার সময় সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। তবে ওই দুই যাত্রীর উপর সন্দেহ হওয়ায়, তাদের পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করা হয়।

তার পরই এই দুই যাত্রীদের জামার কলার ও হাতের ভাঁজ থেকে সোনার মতো দেখতে বাদামী রঙের পেস্ট উদ্ধার করা হয়। শুল্ক দফতর সূত্রে খবর, জেরায় ওই যাত্রীরা আধিকারিকদের জানায়, তাদের কাছ থেকে ওই সোনার পেস্ট নেওয়ার জন্য একজন বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছিল। তখনই ফাঁদ পেতে দিল্লি বিমানবন্দরের চার নম্বর গেট থেকে ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন যে, সোনা গলিয়ে পেস্ট তৈরি করে তা চোরাচালান করার সংখ্যা গত কয়েক মাস ধরে বেড়ে গিয়েছে। কারণ, মেটাল ডিটেক্টর বা এক্স-রে মাধ্যমে সোনার পেস্ট সনাক্ত করা কঠিন। সূত্রের খবর, চোরাচালানীরা সোনা গলিয়ে তাতে খাদ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে। যা সহজেই পাচার করা যায়। একবার সোনা পাচার করতে সক্ষম হলে, পেস্টটি পাউডারে রূপান্তরিত করে তাতে রাসায়নিক মিশিয়ে পুনরায় সোনা বের করে নেয় পাচারকারীরা।

 

বন্ধ করুন