মিড ডে মিলের খাবারে সাপ! এবার ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের আরারিয়া জেলায় স্কুলে। পড়ুয়াদের দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে সাপ পাওয়া গিয়েছে। যা নিয়ে উঠেছে বিস্ফোরক অভিযোগ। দাবি করা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী পোষণ যোজনার 'নাম খারাপ' করার জন্য এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, খাবারে সাপ পাওয়ার ঘটনাটি ঘটেছিল গত ২৭ মে। জোগবানীর আমৌনা মিডল স্কুলে সেই ঘটনাটি ঘটে। এরপর প্রায় ১০০ শিশু পেট ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছিল। সেই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। তদন্ত রিপোর্টে জানা গিয়েছে, রাঁধুনি মেহেরুন নিশার স্বামী মুর্তজা ইচ্ছে করে খাবারে সাপ মিশিয়ে দিয়েছিলেন। এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই অভিযুক্ত রাঁধুনি এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে ফোর্বসগঞ্জের এসডিও সুরেন্দ্র কুমার আলবেলা এই ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, তদন্ত শেষে দু'জনের নাম উঠে এসেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী পুষ্টি প্রকল্পকে বদনাম করার ষড়যন্ত্র করতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জোগবানী থানার প্রধান আধিকারিক ভগতলাল মণ্ডল জানান, অভিযোগ পেয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা করা হয়েছে। দুজনের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী পোষণ যোজনার মানহানি এবং আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার জন্য সমস্যা তৈরির জন্য মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে অভিযুক্ত দু'জনই বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ১৮ জন শিশুকে খাবার পরিবেশন করার পর ১৯তম শিশুর পাতে সাপ পড়ে। এই গোটা বিষয়টি সুপরিকল্পিত ছিল। এরপরই প্রায় ১০০ শিশু হাসপাতালে গিয়ে পেট ব্যথার অভিযোগ করে। যদিও মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, সব শিশু শারীরিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে খাবার রান্নার পর রাঁধুনির স্বামী ইচ্ছে করে খাবারে সাপ রেখে দিয়েছিল। ঘটনার তদন্তে আরও জানা গিয়েছে যে মিড ডে মিল পরিবেশনের দায়িত্বে থাকা এনজিও ও স্কুলের অধ্যক্ষের মধ্যে ভালো সমন্বয় ছিল না।