আশ্চর্যজনক! সৌদি আরবের ঊষ্ণ মরুপ্রান্তর ঢাকল সাদা বরফের চাদরে। প্রবল বৃষ্টি আর সেই সঙ্গে শিলাবৃষ্টির ফলে সৌদি আরবের আল-জাওফ অঞ্চলের কিছু অংশ তুষারাবৃত প্রান্তরে পরিণত হয়েছে। এর ফলে যেন আশ্চর্যভূমিতে পরিণত হয়েছে এই অঞ্চল। ইতিহাস বলছে, এর আগে কখনও এই অঞ্চলে তুষারপাত হয়নি। এই প্রথম এই অঞ্চলে তুষারপাত দেখলেন বাসিন্দারা। রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে ভূভাগ এখন সবটাই সাদা। এই আশ্চর্যজনক এবং মনোরম দৃশ্য দেখে হতবাক হয়েছেন সকলেই। এখন দেখলে বোঝা যাবেই না যে এটি আসলে একটি মরু প্রান্তর। তবে এই দৃশ্য মনোরম হলেও এর পিছনে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে অশনি সঙ্কেত দেখছেন আবহাওয়াবিদরা।
আরও পড়ুন: নাগাড়ে বৃষ্টিতে পাহাড়–সমতলে জনজীবন বিপর্যস্ত, সিকিমে মরশুমের প্রথম তুষারপাত
সৌদি সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, যে গত বুধবার থেকে এই অঞ্চলে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃষ্টিপাত হয়েছে। যার ফলে এই এলাকায় তুষারপাত হয়েছে। সৌদি ন্যাশনাল সেন্টার ফর মেটিওরোলজি (এনসিএম) আগামী দিনেও আল-জাওফ জুড়ে বজ্রপাতের সঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করেছে। সৌদি আবহাওয়া সংস্থা জাজান, আসির এবং মক্কা সহ অন্যান্য অঞ্চলের বাসিন্দাদের আগামী ভয়াবহ আবহাওয়া সম্পর্কে ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছে। তবে এই অস্বাভাবিক আবহাওয়ার ধরণ সৌদি আরবের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতও একই অবস্থার সম্মুখীন হয়েছে।
গত ১৪ অক্টোবর সংযুক্ত আরব আমিরশাহির জাতীয় আবহাওয়া দফতর ওমানের দিকে আরব সাগর পেরিয়ে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার কারণে বৃষ্টিপাত এবং সতর্কতা জারি করেছে। এই অবস্থায় সৌদি আরব প্রশাসন আরও বৃষ্টি এবং সম্ভাব্য ঝড়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রশাসনের তরফে এ বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আফ্রিকার সাহারা মরুভূমি উষ্ণতম এবং শুষ্ক মরুভূমি হিসেবে পরিচিত। সেখানেও বেশ কয়েক বার তুষারপাত হয়েছে। সৌদি আরবেও তুষারপাত হয়েছিল ২০১৬ সালে । সেই সময় প্রবল বৃষ্টির ফলে সৌদি আরবের শাকরা এবং তবুলকের বরফের আস্তরণ দেখা গিয়েছিল। তবে আল জাওফের বিস্তীর্ণ এলাকায় এ ভাবে বরফপাত দেখা যায়নি আগে।
মাস খানেক আগে, সাহারা মরুভূমির কিছু অংশে ভারী বৃষ্টির ফলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। মরক্কোর সরকারের মতে, সেপ্টেম্বরে দুই দিনের ভারী বৃষ্টিপাত বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল। তবে এভাবে জলবায়ুর পরিবর্তন নিয়ে চিন্তিত আবহওয়াবিদরা। আগামী দিনে পরিস্থিতি কোন দিকে যেতে পারে তাই নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন।