গ্রামে ঢোকার রাস্তায় বাঁশের ব্যারিকেড। করোনা সতর্কতা বিধি মেন চলার ব্য়াপারে নানা ধরণের পোস্টার এদিক ওদিক রয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, প্রতি বাড়িতে ঢোকার মুখেই চোখে পড়বে সাবান ও জল। যেকোনও বাড়িতে ঢোকার আগে হাত ধুতেই হবে। গ্রামে ঢুকেও মানতে হবে সামাজিত দূরত্ব বিধি। মাস্ক ছাড়া গ্রামে কোনও ব্যক্তির প্রবেশের অনুমতি মিলবে না। অসমের জোড়হাটের কাওয়াইমারির গোহাইগাঁওতে গোটা করোনাকালে এই বিধি মেনে চলা বাধ্যতামূলক। গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, এর জে করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউতে গ্রামের একজনও করোনায় আক্রান্ত হননি।
জেলা সদর শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে এই গ্রাম। প্রায় ৪০০ পরিবারের বাস এই গ্রামে। হাজার দুয়েক বাসিন্দা থাকেন এই গ্রামে। গ্রামের ডিফেন্স পার্টির সম্পাদক মধুর্য্য কাকটি বলেন, অন্যান্য এলাকার অনেকেই কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। কিন্তু এই গ্রামের সকলেই এই ভাইরাস থেকে মুক্ত।
একেবারে কড়া বিধি আরোপ করা হয়েছে গ্রাম জুড়ে। এই নিয়ম মানছেনও সকলেই। বেশিরভাগ মানুষই কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। কয়েকজন সরকারি ও বেসরকারি জায়গায় কাজ করেন। কর্মস্থলেও তাঁরা কড়া বিধি মানছেন। গ্রামে ফেরার মুখেও তাদের মানতে হচ্ছে যাবতীয় সতর্কতা বিধি। ২৫জনের একটি টিম করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৫জন মহিলাও আছেন। তারাই পালা করে গ্রামে ঢোকার প্রবেশপথগুলি পাহারা দেন। কেউ বিধি ভাঙলে সরকারি নিয়ম মেনে জরিমানা করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সকলেই বিধি মানায় জরিমানা করতে হয়নি কাউকেই। ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ইনচার্জ ডাঃ রেখা হাজারিকা বলেন, 'গতবছর বা এবছর একজনও করোনা রোগী ওই গ্রাম থেকে নেই।