বিশ্বের বহু শহরে সম্পূর্ণ লকডাউন জারি হওয়ার জেরে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে Covid-19 সংক্রমণ। চিনের পরিসংখ্যান যাচাই করে এমনই রায় দিল লন্ডনের ইম্পিরিয়াল কলেজের সমীক্ষা রিপোর্ট।
ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, সামাজিক দূরত্ব তৈরি করার এই উদ্যোগ না নেওয়া হলে ক্রমে বিশ্বের গোটা জনসংখ্যাই মুছে দিতে পারত করোনাভাইরাস সংক্রমণ। বলা হয়েছে, লকডাউন বহাল রাখলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কর্মস্থানে ফিরতে পারবেন ঘরবন্দি কর্মীরা।
গবেষকদের এই অভিমত জোরদার করেছে ভারত সরকারের দেশজুড়ে লকডাউন জারির সিদ্ধান্ত, যার ফলে সংক্রমণ রুখতে তিন সপ্তাহ নিজেদের গৃহবন্দি রাখার উদ্যোগ নিয়েছেন দেশবাসী। লকডাউন ঘোষণার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বার বার স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, একমাত্র সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং পরিচ্ছন্নতা অভ্যাস করলেই বিপজ্জনক এইন সংক্রমণ ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব।
গত মঙ্গলবার প্রকাশিত ইম্পিরিয়াল কলেজের গবেষণা রিপোর্টে জানানো হয়েছে, চিনে ভয়াবহ সংক্রমণের জেরে গত ২৩ জানুয়ারি লকডাউনের আওতায় আনা হয় দেশের ৫ প্রদেশ ও রাজধানী বেজিংয়ে জিপিএস ট্র্যাকিং-এর সাহায্যে বাসিন্দাদের গতিবিধির উপর নজর রাখা হয়েছিল।
প্রথমেই লকডাউন জারি হয় করোনাভাইরাসের আতুরঘর হিসেবে পরিচিত চিনের হুবেই প্রদেশে। গত ১১ মার্চ থেকে এলাকায় কিছু কারখানা খোলার অনুমোদন দিয়েছে হুবেই প্রশাসন।
মহামারী ছড়িয়ে পড়ার পরে গত পাঁচ দিন যাবৎ নতুন কোনও Covid-19 আক্রান্তের খবর চিনে পাওয়া যায়নি। ২৪ মার্চ স্থানীয় হান্টা ভাইরাসে একজনের মৃত্যু ছাড়া অন্য কারও মারা যাওয়ার সংবাদ মেলেনি। একমাত্র ভিনদেশ থেকে আগতদের এই রোগে মৃত্যু হয়েছে।
হংকংয়েও একই ভাবে সামাজিক দূরত্ব তৈরি করতে লকডাউন বহাল হলে রোগের প্রকোপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে বলে রিপোর্টে দাবি করেছেন গবেষকরা।
তাঁদের মতে, আগামী ১৮ মাসের মধ্যে অন্তত ৬ মাস সামাজিক দূরত্ব বহাল থাকলে অনেকটাই কাবু করা যাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার। পাশাপাশি, এই সময়ের মধ্যে গবেষণায় অগ্রগতির ফলে Covid-19 নির্মূল করার ওষুধও আবিষ্কৃত হবে বলে বিশ্বাস বিজ্ঞানীদের।