একেবারে চার-ছক্কা হাঁকিয়ে দিনের শুরুটা করেছিল কংগ্রেস। প্রাথমিক ট্রেন্ডে কোণঠাসা করে দিয়েছিল বিজেপিকে। একটা সময় তো বিজেপির আসন সংখ্যা এক অঙ্কের ঘরে নেমে গিয়েছিল। সেখান থেকে দুর্দান্ত কামব্যাক করল বিজেপি। আপাতত যা ট্রেন্ড, তাতে প্রবল প্রতিষ্ঠান-বিরোধী হাওয়া, একাধিক ইস্যু সামলে হরিয়ানায় টানা তৃতীয়বার পদ্ম ফুটতে চলেছে। আর ইভিএমের লড়াইয়ে সেই পট পরিবর্তনের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিমের ঝড় উঠল। নেটিজেনরা বলতে শুরু করেছেন, ‘ওয়াক্ত বদল গয়া, জসবাদ বদল গয়া।’ আবার যাঁরা সকালে বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে মিম পোস্ট করেছিলেন, তাঁরা ব্যাকফুটে পড়ে গিয়েছেন। আর প্রথমে যাঁরা ব্যাকফুটে ছিলেন, তাঁরা এখন ফ্রন্টফুটে এসে পালটা কংগ্রেসকে খোঁচা দিচ্ছেন।
‘লাফাতে-লাফাতেই কান্না’ কংগ্রেসের
এক নেটিজেন অক্ষয় কুমারের একটি সিনেমার দৃশ্য পোস্ট করে লেখেন, 'হরিয়ানায় কংগ্রেসের অবস্থা।' যে ছবিতে অক্ষয়কে আনন্দ প্রকাশ করে নাচতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু আচমকাই চোখের জল মুছতে শুরু করে দেন। নেটিজেনদের বক্তব্য, কংগ্রেসেরও তাই হয়েছে। সকালের প্রাথমিক ট্রেন্ড দেখে কংগ্রেসের নেতারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছিলেন। আর এখন তাঁরা চাপে পড়ে গিয়েছেন।
মোদীর পুরনো ভিডিয়ো নিয়েও মিম
অপর এক নেটিজেন আবার নরেন্দ্র মোদীর পুরনো ভিডিয়ো পোস্ট করেন। সঙ্গে একগুচ্ছ হাসির স্মাইলি দিয়ে লেখেন, 'আচমকাই পুরোটা পালটে গেল।' আর ওই ভিডিয়োয় মোদীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমাদের পরিকল্পনা এরকম হয় না। আপনারা হয়তো ভাবছেন যে শেষমুহূর্তে এই করে দিল। শেষমুহূর্তে ওই করে দিল। ওরকম হয় না ভাই। আমরা সবকিছু বিশ্লেষণ করে পুরো পরিকল্পনা করি। তারপরই কোনও কাজ করি আমরা।’ অপর একটি মিমে দেখা গিয়েছে যে হরিয়ানার বিধানসভা ভোটের ট্রেন্ড দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছেন কংগ্রেসের নেতারা।
কংগ্রেসের জন্য বড় ধাক্কা হবে
যদিও মুখে কংগ্রেসের নেতারা সেই কথা স্বীকার করছেন না। তাঁরা এখনও দাবি করছেন যে হরিয়ানায় কংগ্রেসই সরকার গঠন করছে। কিন্তু যত সময় যাচ্ছে, তত পরিসংখ্যান অন্য কথা বলছে। আপাতত যা ট্রেন্ড, তাতে হরিয়ানায় ৪৯টি আসনে এগিয়ে আছে বিজেপি। কংগ্রেস এগিয়ে আছে ৩৪টি আসনে। অন্যান্যরা সাতটি আসনে এগিয়ে আছে।
আরও পড়ুন: LIVE: হরিয়ানায় ৫ আসনে ব্যবধান ৫০০-র কম, জম্মু ও কাশ্মীরে অনেকটা এগিয়ে NC-কংগ্রেস
এই ট্রেন্ডই যদি শেষপর্যন্ত বজায় থাকে, তাহলে সেটা আসন্ন কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হবে। কারণ ১০ বছরের প্রতিষ্ঠান-বিরোধী হাওয়া, অন্যান্য সমস্যা সামলেও গতবারের থেকে বিজেপির আসন সংখ্যা বাড়বে। গতবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। এবার সেই ম্যাজিক ফিগার (৪৬) পার করে যাচ্ছে। আর লোকসভা নির্বাচনের পরে কংগ্রেসের সঙ্গে প্রথম মুখোমুখি লড়াইয়ে বাজিমাত করবে বিজেপি।