আজ, রবিবার উত্তর গোলার্ধের দীর্ঘতম দিন। সেদিনই সূর্যের বলয়গ্রাস গ্রহণ হতে চলেছে। তবে ভারতের কয়েকটি জায়গা থেকেই বলয়গ্রাস গ্রহণ দেখা যাবে। সেই তালিকায় অবশ্য পশ্চিমবঙ্গ নেই। রাজ্যবাসীকে আংশিক গ্রহণ দেখেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে।
‘রিং অফ ফায়ার’ দেখা না গেলেও সূর্যগ্রহণ রাজ্যবাসীর উৎসাহে কোনও ভাঁটা নেই। তবে খালি চোখে একেবারেই গ্রহণ দেখা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে সাধারণ চশমা পরেও গ্রহণ দেখতে গেলে উলটে চোখের দৃষ্টি ক্ষতি হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তাঁরা। এমনিতেই করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সহজে চিকিৎসক পাওয়া যাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে।
তাই সূর্যগ্রহণ দেখার জন্য কয়েকটি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সেই উপায়গুলি জেনে নিন -
১) রোদ চশমা বা সানগ্লাস, গোগলস, এক্স-রে প্লেট ব্যবহার করে গ্রহণ দেখবেন না। সেগুলি একেবারেই সুরক্ষিত নয়। জলের সারফেসেও সূর্য দেখা উচিত নয়। শুধুমাত্র ঝালাই করার সময় চোখে যে বর্ম বা গ্লাস ব্যবহার করা হয় অর্থাৎ ওয়েল্ডারস গ্লাস ১৩ বা ১৪ ব্যবহার করে খালি চোখেই সূর্যের দিকে তাকাতে পারবেন।
২) পিন দিয়ে শক্ত কার্ডবোর্ডে ছিদ্র করুন। বোর্ড দিয়ে সূর্যকে ঢেকে ছিদ্রটি সেদিকে রাখুন। কিছুটা দূরে (মোটামুটি ফুট তিনেক) একটা সাদা কাগজ ধরুন। সেই কাগজে সূর্য প্রতিফলিত হবে। কাগজ এবং কার্ডবোর্ডের মধ্যিখানের দূরত্বের হেরফের করে সূর্যের আকার বড় করা যাবে। তবে সেই পিন দিয়ে যে ছিদ্র করেছেন, তা দিয়েও সূর্যগ্রহণ দেখবেন না।
৩) ঝোপঝাড় বা গাছের ছায়ার দিকে তাকান। এক্ষেত্রে পিনের ছিদ্রের কাজ করবে পাতার মধ্যে ব্যবধান। আর মাটিতে সূর্যের ছবি প্রতিফলিত হবে।
৪) কালো কাগজ দিয়ে ‘কমপ্যাক্ট’ মেকআপ কিট ঢেকে দিন। মাঝে একটি ছোটো ছিদ্র করুন। সেই সূর্যের ছবি কিছুটা দূরের দেওয়ালে প্রতিফলিত করুন। আপনি সূর্যগ্রহণের দৃশ্য দেখতে পাবেন।
৫) টিভির পর্দায় গ্রহণ দেখতে পারেন। এছাড়া দিল্লির নেহরু প্ল্যানেটোরিয়াম, নৈনিতালের আর্যভট্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ অবজারভেশনাল সায়েন্স পুরো গ্রহণের ভার্চুয়াল লাইভ টেলিকাস্ট করবে। সায়েন্স সিটির ইউটিউব চ্যানেলেও গ্রহণ দেখানো হবে।