আদিত্য এল-১ সোলার মিশন। ইসরো অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র থেকে শনিবার এই মিশনের সূচনা করেছেন। PSLV-C57 এর মাধ্যমে এই মহাকাশযানকে পাঠানো হয়েছে। আর এই যে বিরাট কর্মযজ্ঞ তার একেবারে মাথায় যিনি আছেন তিনি হলেন নিগর শাজি। এক মহিলা মহাকাশ বিজ্ঞানী। কে তিনি? কী তার পরিচয়?
বয়স ৫৯ বছর। তিনি এই বিরাট মিশনের প্রজেক্ট ডিরেক্টর। অত্যন্ত দক্ষতা সম্পন্ন বিজ্ঞানী। তামিলনাড়ুর একটি ছোট্ট শহরে বড় হয়েছেন তিনি। বাবা শেখ মীরান ছিলেন কৃষক। আর মা সাইতুন বিবি ছিলেন নেহাতই গৃহবধূ। অত্যন্ত সাধারণ পরিবার থেকে তিনি উঠে এসেছিলেন। কিন্তু শিক্ষার প্রতি তাঁর ছোটবেলা থেকেই প্রবল আগ্রহ।
কখনই লক্ষ্য থেকে সরে যাননি তিনি। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি এগিয়ে যেতে শুরু করেন। সেংগোট্টাইয়ের এসআরএম গার্লস স্কুলে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা পেয়েছিলেন। মাদুরাই কামরাজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশনে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি পেয়েছিলেন। রাঁচির বিআইটি থেকে তিনি মাস্টার্স ডিগ্রি পেয়েছিলেন।
১৯৮৭ সালে তাঁর নয়া জার্নি শুরু হয়। সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে তিনি যোগ দিয়েছিলেন। ধীরে ধীরে তিনি নিজেকে তৈরি করা শুরু করেন। বিজ্ঞানী হিসাবে তিনি একাধিক দক্ষতার নজির রেখেছেন। এরপর তাঁর উপরই দায়িত্ব দেওয়া হয় আদিত্য-এল ওয়ানের।
তিনি এর আগে ভারতের রিমোট সেন্সিং কমিউনিকেশন, স্যাটেলাইট সংক্রান্ত কাজে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেন। তাঁর স্বামী পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। তিনি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে কর্মরত। তাঁদের সন্তান নেদারল্যান্ডের বিজ্ঞানী হিসাবে কর্মরত। তাঁদের মেয়ে বেঙ্গালুরুতে থাকেন। প্রায় ৩০ বছর আগে ওই বিজ্ঞানী তাঁর বাবাকে হারিয়েছিলেন।
তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল চন্দ্রায়নের ৩ এর যিনি প্রজেক্ট ডিরেক্টর পি বিরামুথুভেল তিনিও তামিলনাড়ুর। অন্যদিকে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালাম তিনিও ছিলেন তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। আবার আদিত্যর প্রজেক্ট ডিরেক্টরও তামিলনাড়ুর। তবে অত্যন্ত সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা ওই মহিলা বিজ্ঞানী গোটা দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন।