বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > যুগান্তকারী আবিষ্কার অস্ট্রেলিয়ার স্টার্ট-আপের, সস্তা হতে পারে সৌর প্যানেল!

প্রায় বছর ছয় আগের কথা। ভিনস অ্যালেন সিডনির এক শহরতলিতে কয়েকজন ফ্ল্যাটমেটের সঙ্গে শেয়ার করা গ্যারেজে সৌরবিদ্যুত্ নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু করেছিলেন। তিনি তখন নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছেন। মাথায় একটাই চিন্তা, সোলার প্যানেলকে কীভাবে সস্তা করা যায়। আর এর একটাই সুরাহা ছিল। ডিভাইস থেকে বিদ্যুৎ টানতে ব্যবহৃত ব্যয়বহুল রূপোর বদলে সস্তার তামা ব্যবহার করা।

সেই সময়ে বড় বড় সংস্থাগুলি রুপো পাওয়ার চেষ্টা করছিল। এদিকে অ্যালেন অনড় ছিলেন নিজেরই ভাবনায়। ছোট্ট গ্যারেজে কিছু সঙ্গীসাথীর সঙ্গে চালাতে থাকেন গবেষণা। একের পর এক আইডিয়া পরীক্ষা করতে থাকেন। আসে ব্যর্থতাও। কিন্তু সফল না হওয়া পর্যন্ত থামবেন না, সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তিনি।

সাফল্য

সানড্রাইভ সোলার। ২০১৫ সালে এই নাম দিয়েই গ্যারেজে নিজের সংস্থা চালু করেছিলেন অ্যালেন। আজ প্রায় ৬ বছর পর চলতি সপ্তাহে নিজেকে প্রমাণ করল সেই সংস্থা। সর্বকালের সবচেয়ে দক্ষ সৌর কোষগুলির মধ্যে একটি তৈরি করেছে সানড্রাইভ সোলার। এবং এটির খরচও তুলনামূলকভাবে কম। কারণ? এতে রূপোর বদলে তামা ব্যবহার করেছেন অ্যালেন ও তাঁর সঙ্গী গবেষকরা।

যদি সানড্রাইভ তার এই প্রযুক্তি ব্যাপকভাবে উৎপাদন করতে পারে তবে বেশ সস্তা হয়ে যাবে সৌর প্যানেলের দাম। 'তামা ব্যবহারের মজা হল, এটি সাধারণত রূপোর চেয়ে প্রায় ১০০ গুণ সস্তা। ফলে দাম কতটা কমবে, তার আন্দাজ করা কঠিন নয়,' বললেন ৩২ বছরের অ্যালেন।

পাশে ছিলেন যাঁরা

ব্ল্যাকবার্ড ভেঞ্চার এবং অন্যান্য বড় নামী বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ৭.৫ মিলিয়ন ডলার সাহায্য পেয়েছে সানড্রাইভ সোলার। অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম ধনী ব্যক্তি মাইক ক্যানন-ব্রুকস তাঁর গ্রোক ভেঞ্চারের মাধ্যমে স্টার্টআপটিকে সমর্থন করেন। অস্ট্রেলিয়ান রিনিউএবল এনার্জি এজেন্সির সরকারি অনুদানের মাধ্যমে কোম্পানিটি ২ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি সাহায্য পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

বন্ধ করুন