সমনামী হওয়ার যে কী জ্বালা, তা হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছেন সদ্য সমাপ্ত মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের বেশ কয়েকজন প্রার্থী। কারণ সূত্রের দাবি, স্রেফ নাম বিভ্রাটের জেরেই নাকি এবারের মারাঠা ভূমের রাজ্য নির্বাচনে হেরে ভূত হয়েছেন একাধিক প্রার্থী! অন্যদিকে, যার সুফল লাভ করেছেন তাঁদেরই প্রতিপক্ষ প্রার্থীরা!
টাইম অফ ইন্ডিয়া-এ এই সংক্রান্ত যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে এই সুবিধাভোগী প্রার্থীদের উল্লেখ করতে গিয়ে দিলীপ ওয়ালসে পাতিলের নাম করা হয়েছে।
যথেষ্ট বরিষ্ঠ রাজনীতিক হিসাবে পরিচিত দিলীপ আটবারের বিধায়ক। বরাবরই আম্বেগাঁও বিধানসভা কেন্দ্র থেকে লড়াই করে ভোটে জিতে এসেছেন তিনি।
এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হন দুই দেবদত্ত নিকম। বিশ্লেষকদের দাবি, এবারের নির্বাচনে হার একপ্রকার নিশ্চিত ছিল দিলীপের। কিন্তু, বিপক্ষ শিবিরের নাম বিভ্রাটের জেরে খুব সামান্য ব্যবধানে হলেও শেষমেশ জিতে যান তিনি।
তথ্য বলছে, এমভিএ প্রার্থী দেবদত্ত নিকমের থেকে মাত্র ১,৫২৩টি ভোট বেশি পেয়েছেন দিলীপ। ভোটের ফলাফল অনুসারে, এই কেন্দ্রে প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে তিন নম্বরে রয়েছেন নির্দল প্রার্থী তথা আরও এক দেবদত্ত নিকম।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, স্রেফ সমনামী হওয়ার কারণেই এমভিএ প্রার্থীর ভোটে বিরাট ভাগ বসিয়েছেন এই কেন্দ্রের নির্দল প্রার্থী। আর এই ভোট কাটাকাটির কারণেই কোনও মতে জয়ী হতে পেরেছেন দিলীপ।
সংবাদমাধ্যমের হাতে আসা তথ্য বলছে, এবারের মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে, দক্ষিণের চারটি জেলার অন্তর্গত বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে, নামবিভ্রাটে জড়িয়েছেন এমভিএ-র একাধিক প্রার্থী। উলটো দিকে, মহাযুতি জোটেরও মোট ১৭ জন প্রার্থীকে এই সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে।
একই সমস্যা দেখা গিয়েছে রাজ্যের উত্তর অংশের বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতেও। সেখানকার ১২ জন নামজাদা প্রার্থীকে জেরবার হতে হয়েছে সমনামী প্রার্থীদের উপস্থিতির কারণে।
যেমন - কারজাট জামখেড় বিধানসভা কেন্দ্রে এনসিপি (শরদ পাওয়ার গোষ্ঠী) প্রার্থী রোহিত পাওয়ার এবং বিজেপি প্রার্থী রাম শিণ্ডেকে তাঁদের সমনামী প্রার্থীদের মুখোমুখি হতে হয়েছে।
শেষমেশ অবশ্য এই আসনে জয়ী হন এনসিপি (শরদ পাওয়ার গোষ্ঠী) প্রার্থী রোহিত পাওয়ার। কিন্তু, তাঁর জয়ের ব্যবধান ছিল মাত্র ১,২৪৩টি ভোট। যেখানে তাঁরই সমনামী প্রার্থী পেয়েছেন ৩,৪৮৯টি ভোট। এবং ভোট প্রাপ্তির দৌড়ে তিনি থেকেছেন তিন নম্বরে।
অন্যদিকে, বিজেপি প্রার্থী রাম শিণ্ডের দুই সমনামী প্রতিপক্ষ প্রায় ৫০০ ভোট পেয়েছেন।