কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী বৃহস্পতিবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সামনে হাজির হলেন ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার আর্থির দুর্নীতির মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। এদিকে সোনিয়ার ইডি হাজিরার আগে কংগ্রেস কর্মীরা এবং দলের নেতারা দিল্লির রাজপথে বিক্ষোভ দেখান। এদিকে সোনিয়ার হাজিরার আগেই ১৩টি বিরোধী দল যৌথ বিবৃতি দিয়ে মোদী সরকারকে তোপ দাগে। এই আবহে তাঁর ছেলে রাহুল গান্ধী এবং মেয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে সোনিয়া গান্ধী দুপুরের দিকে ইডি অফিসে পৌঁছান।
যৌথ বিবৃতিতে, বিরোধী দলগুলি অভিযোগ করেছে যে মোদী সরকার বিভিন্ন দলের বিশিষ্ট নেতাদের লক্ষ্য করে তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপব্যবহার করছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ইডি, সিবিআই-এর মাধ্যমে রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধে নিরলস প্রতিহিংসা চালাচ্ছে মোদী সরকার। এই প্রতিহিংসা পরায়ণ রাজনীতির নিন্দা জানায় বিরোধী দলগুলি। সিপিএম, টিআরএস, শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরেপন্থী), আরজেডি, আরএসপি, ডিএমকে-র মতো দলগুলি একযোগে নিন্দা জানায় কেন্দ্রের।
উল্লেখ্য, ১৯৩৮ সালে জওহরলাল নেহরুর হাত ধরে পথ চলা শুরু ন্যাশনাল হেরাল্ড-এর৷ স্বাধীনতার পর কাগজটি মূলত কংগ্রেসের মুখপত্রে পরিণত হয়৷ পত্রিকাটির প্রকাশক অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড৷ এর মালিকানা ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড৷ ২০০৮ সালে আর্থিক ক্ষতির কারণে ন্যাশনাল হেরাল্ড-এর প্রকাশনা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন কংগ্রেস প্রধান সোনিয়া গান্ধি৷ এরপর ২০১১ সালে ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড নামক কোম্পানি গঠন করেন তিনি৷ যাঁর ৭৬ শতাংশ অংশীদারি কংগ্রেস সভানেত্রী এবং তাঁর পুত্র রাহুলের৷ এর সূত্র ধরেই ২০১৩ সালে অর্থ তছরুপের অভিযোগ আনেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণিয়াম স্বামী৷ পরে ২০১৫ সালে ইয়ং ইন্ডিয়া একটি অলাভজনক কোম্পানি হওয়ায় এর বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ করে ইডি৷ বর্তমানে এই মামলায় আগাম জামিন নিয়ে মুক্ত আছেন রাহুল ও সোনিয়া।