তৃতীয় রাউন্ড জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে এলেন কংগ্রেসের অন্তরবর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বুধবার সোনিয়াকে তিনঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে জানা যায়। এর আগে ২১ জুলাই প্রথমবার ইডি অফিসে হাজিরা দিয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধী। এরপর আরও এক দফা ইডি দফতরে আসেন সোনিয়া। সোনিয়ার ইডি হাজিরাকে কেন্দ্র করে দিল্লির রাজপথে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধিয়ে আসছে কংগ্রেস। যা নিয়ে শাসকদল বিজেপি পালটা তোপ দেগেছে হাত শিবিরকে। তবে বিরোধীদের পালটা তোপ, প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়েই কেন্দ্র এই পদক্ষেপ করছে।
এর আগে রাহুল গান্ধীকেও দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল ইডি। রাহুলের হাজিরার দিনগুলিতেও কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা দিল্লির রাজপথে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিলেন। সোনিয়ার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটান কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। এর জেরে পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন খোদ রাহুল গান্ধী। উল্লেখ্য, এর আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে সোনিয়া হাসপাতালে ভরতি হওয়ায় ইডির প্রাথমিক তলবে হাজিরা দিতে পারেননি কংগ্রেস নেত্রী। পরে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে ইডির তলবে সাড়া দেন সোনিয়া।
উল্লেখ্য, ১৯৩৮ সালে জওহরলাল নেহরুর হাত ধরে পথ চলা শুরু ন্যাশনাল হেরাল্ড-এর৷ স্বাধীনতার পর কাগজটি মূলত কংগ্রেসের মুখপত্রে পরিণত হয়৷ পত্রিকাটির প্রকাশক অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড৷ এর মালিকানা ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড৷ ২০০৮ সালে আর্থিক ক্ষতির কারণে ন্যাশনাল হেরাল্ড-এর প্রকাশনা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন কংগ্রেস প্রধান সোনিয়া গান্ধী৷ এরপর ২০১১ সালে ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড নামক কোম্পানি গঠন করেন তিনি৷ যাঁর ৭৬ শতাংশ অংশীদারি কংগ্রেস সভানেত্রী এবং তাঁর পুত্র রাহুলের৷ এর সূত্র ধরেই ২০১৩ সালে অর্থ তছরুপের অভিযোগ আনেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণিয়াম স্বামী৷ পরে ২০১৫ সালে ইয়ং ইন্ডিয়া একটি অলাভজনক কোম্পানি হওয়ায় এর বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ করে ইডি৷ বর্তমানে এই মামলায় আগাম জামিন নিয়ে মুক্ত আছেন রাহুল ও সোনিয়া।