শেষমেষ অধীর চৌধুরীকে দলনেতা হিসেবে রেখেই লোকসভার বাদল অধিবেশনে ঝড় তুলতে কোমর কষল কংগ্রেস। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই জল্পনা শুরু হয়েছিল অধীর নিজের স্থান ধরে রাখতে পারবেন কি না, তা নিয়ে। তবে শেষ পর্যন্ত অধীরকে সামনে রেখেই বাদল অধিবেশনে লোকসভায় পা রাখার সিদ্ধআন্ত নিল হাত শিবির। এদিকে সংসদে আরও বেশি করে বর্ষীয়ান নেতাদের সামনে নিয়ে আসা হল কংগ্রেসের তরফে। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম, মণীশ তিওয়ারি, অম্বিকা সোনিদের মতো মুখকে সামনের সারিতে আনার সিদ্ধান্ত নিলেন সোনিয়া গান্ধী।
এদিকে অধীরের ডেপুটি থাকছেন অসমের সাংসদ গৌরব গগৈ। কে সুরেশ হচ্ছেন কংগ্রেসের চিফ হুইপ। এছাড়াও হুইপ থাকছেন রবণীত সিং বিট্টু এবং মণিকম ঠাকুর। এদিকে রাজ্যসভায় দলনেতা থাকছেন মল্লিকার্জুন খার্গে। তাঁর ডেপুটি থাকছেন আনন্দ শর্মা। তাছাড়া চিফ হুইপ থাকছেন জয়রাম রমেশ।
এই পদগুলি ছাড়াও কংগ্রেসের তরফে সংসদীয় 'ব়্যাঙ্কিং' ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। লোকসভার ক্ষেত্রে কংগ্রেসের হয়ে চিফ হুইপের পরে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ নেতারা যথাক্রমে হলেন - মণীশ তিওয়ারি, শশী থারুর। এদিকে রাজ্যসভায় চিফ হুইপের পরে কংগ্রেসের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ নেতারা হলেন - অম্বিকা সোনি, পি চিদাম্বরম, দিগ্বিজয় সিং এবং কেসি বেণুগোপাল।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরে দিল্লির রাজনীতিতে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা বদলের সম্ভাবনার খবর। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল যে অধীর চৌধুরীকে সরতে হতে পারে এই পদ থেকে তবে পরবর্তীতে কংগ্রেস সূত্রে জানানো হয় যে বাদল অধিবেশনে অধীরই কংগ্রেসের দলনেতা থাকছেন লোকসভায়। সেই মতোই এদিন চিঠি দিয়ে সেই খবর নিশ্চিত করলেন কংগ্রেসের অন্তরবর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। তবে লোকসভায় মণীশ তিওয়ারি, শশী থারুররদের গুরুত্ব বাড়িয়ে জল্পনা জিইয়ে রাখলেন। উল্লেখ্য, অধীরের বদলে মণীশ বা শশীকে দলনেতা করা হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছিল।