কংগ্রেস সংগঠন ঢেলে সাজালেন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। সম্পূর্ণ ভাবে বদল করা হয়েছে কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি। কিন্তু এই কমিটির সদস্যদের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনের মধ্যে বেছে নেওয়ার যে দাবি করেছিলেন একাংশ, সেই পথে হাঁটেননি সোনিয়া। ইতিমধ্যেই সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কপিল সিব্বাল।
পশ্চিমবঙ্গ সহ বিভিন্ন রাজ্যে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা বদল করা হয়েছে, বদল হয়েছে বেশ কিছু সাধারণ সম্পাদক। তবে নেতৃত্ব বদল চেয়ে চিঠি লেখা বিক্ষুব্ধদের অনেককেই নয়া সংগঠনে বড় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরানো হয়েছে গুলাম নবি আজাদ, মোতিলাল ভোহরা, অম্বিকা সোনি, মল্লিকার্জুন খারগেকে। অন্যদিকে ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য করা হয়েছে চিদম্বরম, সুরজেওয়ালা, তারিক আনওয়ার ও জিতেন্দ্র সিংকে।
এদিন ছয় সদস্যের একটি বিশেষ কমিটি সোনিয়া গঠন করেছেন তাঁকে দলের সংগঠনের কাজে সাহায্য করার জন্য। সেখানে সদস্য হলেন অ্যান্টনি, আহমেদ প্যাটেল, অম্বিকা সোনি, কেসি বেনুগোপাল, মুকুল ওয়াসনিক ও রণদীপ সুরজেওয়ালা।
Congress Working Committee (CWC) থেকে যারা বাদ পড়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হল অধীর চৌধুরী। রণদীপ সুরজেওয়ালাকে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নিযুক্ত করা ছাড়াও কর্ণাটক কংগ্রেসের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিক্ষুব্ধ নেতাদের মধ্যে আনন্দ শর্মা ও গুলাব নবি আজাদ এখনও ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য আছেন। অন্যদিকে জিতিন প্রসাদকে বিশেষ আমন্ত্রিতের থেকে এখন স্থায়ী আমন্ত্রিত করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের অবজার্ভার হিসাবেও নিযুক্ত করা হয়েছে জিতেন প্রসাদ।
সোনিয়া গান্ধীকে যারা চিঠি লিখেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন কপিল সিব্বাল। নিজের প্রতিক্রিয়ায় হিন্দুস্তান টাইমসকে তিনি জানিয়েছেন যে গ্রেট মাইন্ড যেটা চেয়েছেন সেটাই হয়েছে। মনোনীত হওয়াই এখন নিয়ম, নির্বাচিত হওয়া ব্যতিক্রমও না, এভাবেই গোটা প্রতিক্রিয়া নিয়ে তির্যক মন্তব্য করেছেন সিব্বাল। অন্যদিকে মণীশ তেওয়ারি জানিয়েছেন গান্ধী, নেহরু, প্যাটেল, আম্বেদকর যেই ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন, আশা করি সেই আদর্শকে আমরা রক্ষা করতে পারব।