২০২৪ লোকসভা ভোটে, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের তুলনায় কংগ্রেস বেশ কিছুটা জমি পোক্ত করেছে। এবার আসছে, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে বিধানসভা ভোট। হারানো জমি পুনরুদ্ধারে ব্যস্ত বিজেপি। অন্যদিকে, কংগ্রেসের কাছে এই ভোটে পিচ আরও পোক্ত করা পাখির চোখ। এই প্রেক্ষাপটে কংগ্রেসকে কোন রাস্তায় চলতে হবে, তার টিপস দিলেন প্রাক্তন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।
সোনিয়া বলছেন, ‘মাহৌল’ (হাওয়া) কংগ্রেসের পক্ষেই রয়েছে। শুধু কোনও রকমের আত্মতুষ্টী বা অতি আত্মবিশ্বাস যেন এই সাফল্যের ট্রেন্ডে থাবা না বসায়। আর সেই হাওয়ায় যাতে কংগ্রেস কর্মীরা গা না ভাসিয়ে দেন, তারও টিপস দিয়েছেন সোনিয়া। একধাপ এগিয়ে তিনি দলের ওপর আস্থা রেখে বলছেন, লোকসভায় তাঁর দল যা করেছে, তা যদি ধরে রাখা যায়, তাহলে জাতীয় রাজনীতিতেও বড় পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। রাজ্যসভার নেত্রী কংগ্রেসের সাংসদ সোনিয়া গান্ধী বলেন, ‘মাহোল আমাদের দিকে, তবে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে প্রেক্ষাপট বুঝে। লোকসভায় যে ট্রেন্ড আছে, তা ধরে রেখে যদি পারফরম্যান্স হয় আর তা ভালো হয়, তাহলে জাতীয় রাজনীতিতেও বড় পরিবর্তন আসতে পারে।’
( Vastu Shastra tips For Tulsi: বাড়িতে কয়টি তুলসীগাছ থাকা শুভ? সমৃদ্ধি লাভে বাস্তুশাস্ত্র মত দেখে নিন)
দলকে পরামর্শ দিয়ে সোনিয়া বলছেন, যে ‘মোমেন্টাম’ রয়েছে, তা ধরে রাখা দরকার। তিনি বলছেন, হাওয়ায় গা ভাসিয়ে অতি আত্মবিশ্বাস ঠিক নয়। এছাড়াও লোকসভা ভোটের ফলাফল থেকে শিক্ষা নিয়ে ভালো দিকগুলি চালিয়ে যেতে পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। আসন্ন বিধানসভা ভোটের দিকে নজর রেখে, সোনিয়া গান্ধী বলছেন, ‘আর কয়েক মাসের মধ্যে, চার রাজ্যে ভোট। আমাদের মোমেন্টাম ও ভালো দিককে ধরে রাখা দরকার, যা লোকসভা ভোটে তৈরি হয়েছে। আমাদের আত্মতুষ্টী ও অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের দরকার নেই।’ এছাড়াও কংগ্রেসের প্রথমবারের সাংসদদের প্রস্তুত থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে তাঁদের বলেছেন, যে কাজ তাঁদের দেওয়া হয়েছে , তা যেন গুরুত্বের সঙ্গে তাঁরা করেন। প্রথমবারের সাংসদদের উদ্দেশ্য করে সোনিয়া বলেন, ‘সংসদে আমাদের নিয়মিত উপস্থিত থআকা দরকার। আমাদের সবসময় সচেতন থাকা দরকার আর যে অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হচ্ছে, তা গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া উচিত। ’