‘নিজেকে মুক্ত লাগছে।’ মল্লিকার্জুন খাড়গের হাতে কংগ্রেসের দায়িত্ব সঁপে দেওয়ার পর এমনই মন্তব্য করলেন বিদায়ী সভাপতি সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, অতীতে একাধিক কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছে কংগ্রেস। এবারও যাবতীয় সমস্যা কাটিয়ে উঠবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন সোনিয়া।
বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন খাড়গে। তারপর সোনিয়া জানান, শতাব্দীপ্রাচীন দলে একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে কাজ শুরু করেছিলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা। তারপর ধাপে-ধাপে উত্থান হয়েছে। এবার কংগ্রেসের সর্বোচ্চ পদে বসেছেন খাড়গে। নিজেদের বিবেক দিয়ে কংগ্রেসের সদস্যরা তাঁকে নয়া সভাপতি বেছে নিয়েছেন বলে জানান সোনিয়া।
কংগ্রেসের বিদায়ী সভাপতি বলেন, ‘আজ নিজেকে মুক্ত মনে হচ্ছে। কেন সেটা বললাম, তা আমি স্পষ্ট করে বলছি। আমি যে সম্মান ও ভালোবাসা পেয়েছি, তা আমার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত মনে রাখব। কিন্তু এই সম্মানের বিষয়টা অত্যন্ত বড় দায়িত্বের। আমার যা ক্ষমতা ছিল, সেটা দিয়েই দায়িত্ব পালন করেছি। আজ আমার দায়িত্ব ছেড়ে দেব। তাই স্বাভাবিকভাবেই আমি মুক্তবোধ করছি।’
আরও পড়ুন: ৫ সন্তানের বাবা, শ্রমিক নেতা থেকে কংগ্রেসের শীর্ষে মল্লিকার্জুন, জানুন ১০ পয়েন্ট
১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত একটানা কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন সোনিয়া। তারপর কংগ্রেসের শীর্ষপদে বসেছিলেন ছেলে রাহুল। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির দায় নিয়ে কংগ্রেসের দায়িত্ব ছেড়েছিলেন ওয়াইনাডের সাংসদ। তারপর থেকে ‘সাবস্টিটিউট’ হিসেবে কংগ্রেসের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকার পর অবশেষে চলতি বছরের অক্টোবরে নয়া সভাপতি নির্বাচন হয়। শশী থারুরকে হারিয়ে নয়া সভাপতি হয়েছেন খাড়গে।
প্রায় আড়াই দশক পরে গান্ধী পরিবারের বাইরের কোনও ব্যক্তি কংগ্রেসের সভাপতি হয়েছেন। যদিও রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, খাড়গে যে সোনিয়া ঘনিষ্ঠ, তা কারও অজানা নয়। তাই আদৌও খাড়গে গান্ধী পরিবারের ছায়া থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে আসতে পারেন কিনা, সেদিকে নজর থাকবে। তারইমধ্যে সোনিয়া বলেন, ‘নব-নির্বাচিত কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। পরিবর্তনই হল পৃথিবীর নিয়ম। অতীতেও অনেক কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়েছে কংগ্রেস। আমি নিশ্চিত যে এবারও আমরা যাবতীয় সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারব।’