প্রশান্ত কিশোরের কংগ্রেসে যোগের জল্পনা চলছে বহুদিন ধরেই। এই আবহে তাঁকে দলে নেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন সোনিয়া গান্ধী। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কংগ্রেস নেতাকে উদ্ধৃত করে। ইতিমধ্যেই প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে বর্ষীয়ান বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে আলোচনা করেছেন সোনিয়া গান্ধী। প্রসঙ্গত, আহমেদ প্যাটেলের প্রয়াণের পর তৈরি হওয়া শূন্যস্থআন পূরণ করতে প্রশান্ত কিশোরের কথা ভাবছিলেন সোনিয়া গান্ধী।
সূত্রের খবর, কংগ্রেসের অন্দরে তৈরি হওয়া জি-২৩ নামক বিরোধী গোষ্ঠী প্রশান্ত কিশোরের অন্তর্ভুক্তি প্রসঙ্গে আপত্তি তুলেছে। এই গোষ্ঠী এর আগে কংগ্রেসের অভ্যন্তরে আমূল পরিবর্তনের দাবি তুলে সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেছিলেন। এদিকে প্রশান্ত কিশোরের পক্ষেও মত প্রকাশ করেছেন বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ এবং তামিলানড়ুতে তাঁর পরামর্শে জিতেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এমকে স্ট্যালিন।
তবে প্রশান্ত কিশোর দলে এলে কি পৃথক নির্বাচনী প্রচার কমিটির দায়িত্বে আসবেন নাকি, দলের বর্তমান পরিকাঠামোর মধ্যেই তাঁকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে প্রিয়ঙ্কা এবং রাহুল গান্ধী প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কাজ করেছেন, তাই তাঁর অন্তর্ভুক্তিতে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। কয়েকদিন আগে দিল্লিতে রাহুল গান্ধীর বাসভবনে গিয়ে দেখাও করে আসেন পিকে। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সোনিয়া, প্রিয়ঙ্কারাও। তবে ২০১৭ সালে প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে কংগ্রেস-সমাজবাদী পার্টির জোট জিততে পারেনি। তাই প্রশান্তের ক্ষমতা নিয়ে দলের অন্দরে প্রশ্ন রয়েছে।
এর আগে জনতা দল ইউনাইটেডে নীতীশ কুমারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন পিকে। তবে পরবর্তীতে বিজেপি বিরোধিতায় সরব হয়ে দল থেকে বহিষ্কৃত হন তিনি। সম্প্রতি পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের উপদেষ্টা পদ থেকে অব্যাহতি চান পিকে।